শেষ আপডেট: 22nd October 2024 16:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে 'থ্রেট কালচারে' অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বড়সড় স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের সাসপেনশন এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। 'থ্রেট কালচার'-এর অভিযোগ থাকায় ৫১ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল আরজি কর থেকে। সেই নির্দেশের ওপরই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ এল। আগামী ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
সোমবার নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে এই বিষয়টি উঠেছিল। সাসপেনশন আদৌ এভাবে করা যায় কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কী ভাবে রাজ্যকে না জানিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা জানতে চান তিনি। এরপরই মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত মামলায় স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, আপাতত এই নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না। সাসপেনশন নিয়ে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিলেও তা কার্যকর বলে ধরা হবে।
আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাসপেন্ড হওয়া ৮ জন চিকিৎসক। তাঁরা বলেন, যারা অভিযোগ করেছে এবং যে অভিযোগের ভিত্তিতে সাসপেন্ড করা হয়েছে তার কোনও অস্তিত্ব এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী অর্ডারেও স্পষ্ট নয়, কেন তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই হয়েছে এই সাসপেনশন। এই প্রেক্ষিতে অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দের মতো জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য শুনতে চেয়েছে আদালত।
সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই জুনিয়র ডাক্তার এবং হাউজ স্টাফদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরজি করের অধ্যক্ষকেও তিনি কার্যত ভর্ৎসনা করেন। আজ অবশ্য আদালতে আরজি করের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, ‘রিড্রেসাল সেলের প্রধান মুখ্যসচিব। কলেজ শুধু যে কোনও অভিযোগ ওই কমিটির কাছে পাঠাতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যই। আমরা কাউকে বহিষ্কার করিনি।’