শেষ আপডেট: 28th September 2024 13:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। লেক থানার ওসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি এক এসআই, এক সার্জেন্ট ও তিন মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঘটনার সূত্রপাত, গত ১৫ জুলাই লেক থানা এলাকায় এক আইএএসের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত।
পরে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলার বয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। যে কারণে গ্রেফতারের পরের দিন অভিযুক্ত আদালত থেকে জামিনও পেয়ে যান।
কলকাতা হাইকোর্ট আজ অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে দেয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্ট কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো ভর্ৎসনা করে। বলেছে 'প্রাথমিকভাবে লঘু ধারায় এফআইআর করার জন্য মামলা দুর্বল হয়েছে।'
অভিযোগকারিণীর আইনজীবী আদালতকে জানান, 'থানায় বসে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও কোনও তদন্ত করা হয়নি।' তিনি আরও বলেন, 'শুধু টাই নয়, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিশ।'
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বাংলার নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে লিখেছিলেন, 'এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং বাংলায় নারীর প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।'
সন্দেশখালি থেকে আরজি করের প্রসঙ্গ টেনে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দায়ী করেছিলেন অমিত।