শেষ আপডেট: 2nd December 2024 14:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবাব জামিন পেলেন অয়ন শীল। তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এর পাশাপাশি একাধিক শর্ত মানতে হবে অয়ন শীলকে।
গত বছরের মার্চ মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অয়ন শীল। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তিনি। গ্রেফতারির আগে অয়নের বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথিও উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে ছিল অনেক ওএমআর শিটের জেরক্স কপিও। সেই ইডির মামলায় সোমবার জামিন পেলেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, অয়ন শীলকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। একই সঙ্গে তিনি মোবাইল নম্বর বদলাতে পারবেন না। তদন্তেও পূর্ণ সহযোগিতা তাঁকে করতে হবে। এদিকে জামিন মিললেও এখনই জেলমুক্তি ঘটছে না অয়নের। কারণ পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি তাঁকে প্রাথমিক নিয়োগ মামলাতে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাই জামিন পেয়ে গেলেও জেলেই থাকতে হবে হুগলির এই ব্যবসায়ী-প্রোমোটারকে।
ইডি অয়ন শীলকে নিয়ে দাবি করেছিল, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে বিভিন্ন জনের থেকে যে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। এছাড়া অয়ন বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থী প্রতি লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন নিতেন। অয়নের বাড়ি থেকেও এই সংক্রান্ত একাধিক নথি, হার্ড ডিস্ক সহ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন ইডি-র গোয়েন্দারা। তাঁরা এও দাবি করেছিল, জেরায় অয়ন নিজে স্বীকার করেছেন, পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ৪০ কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে দুর্নীতির ইস্যুতে এই অয়ন শীলের যোগসূত্র খুবই দৃঢ় বলেই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। যদিও বর্তমানে এই সকলেই জামিন পেয়েছেন। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও জামিন পেয়েছেন। শুধু জামিন মিলছে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিল পার্থ। তবে সোমবার সেই মামলার ফের শুনানিতে থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ইডি, সিবিআই এবং জেল হেফাজতে কতদিন ছিলেন, জানতে চেয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ। কিন্তু সেই সংক্রান্ত তথ্য দিতে দেরি করেন আইনজীবীরা। তার ফলেই জামিন মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়।