শেষ আপডেট: 5th February 2025 15:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যোগেশ চন্দ্র ল কলেজে সরস্বতী পুজো হওয়া নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। শেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি প্রহরায় পুজো হয়। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তই সেই নির্দেশে দিয়েছিলেন। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে তিনি গোটা বিষয় নিয়েই বিস্ময় প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি নির্দেশ দিলেন, কলেজে বহিরাগতদের বা প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
সরস্বতী পুজো করা নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল সেই নিয়ে এদিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এধরনের ঘটনা কাম্য নয়। সুষ্ট ভাবে পঠনপাঠনে কোনও ভাবেই যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে দিকে নজর দিতে হবে। বিচারপতির নির্দেশ, কলেজ কর্তৃপক্ষকে পলিসি তৈরি করতে হবে যাতে বহিরাগত বা প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা প্রবেশ করতে না পারে। কলেজের অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। এই অভিযোগ শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশ, যাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁরা অবিলম্বে চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। আর পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যদি না নেওয়া হয় তাহলে আদালত হস্তক্ষেপ করবে।
যোগেশের ডে ও ল কলেজের অধ্যক্ষদের পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এই মামলা নিষ্পতি করে তিনি জানিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজের প্রবেশের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ সম্পূর্ণ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। সবশেষে একটি বিষয়ই কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, থ্রেট কালচার বন্ধ করতেই হবে।