শেষ আপডেট: 5th February 2025 18:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিরোধিতা করে যে আবেদন করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ তা ফের খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই প্রেক্ষিতেই সন্দীপ ঘোষ সহ চার অভিযুক্তের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সন্দীপ ঘোষ তাঁর বেঞ্চেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ ছিল, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসেই সেই মামলার শুনানি হবে। শেষমেশ নিজের আগের নির্দেশই বহাল রাখলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়ে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী সাত দিন সময় দিতে হবে ডিসচার্জ পিটিশনের জন্য। তাঁদের প্রায় কুড়ি হাজার পাতার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে যা পড়ার সময় দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে একক বেঞ্চ কী করে বলতে পারে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে, এই প্রশ্ন ছিল তাঁর।
বিচারপতির উদ্দেশে সুমন হাজরার বক্তব্য ছিল, '৬০ দিন আমরা আইনি বিচারের মধ্যে রয়েছি। আমরা হেফাজতেই ছিলাম। আপনি আমাদের কথা না শুনেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর প্রধান বিচারপতির কাছে গেছিলাম।' সন্দীপ ঘোষ এও বলেন, 'ফেয়ার ট্রায়াল সবার অধিকার। চার্জশিট পেশ ও অনুমোদনের মধ্যে আমাদের ভূমিকা কোথায়? সকলেই হেফাজতে রয়েছে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।' তবে আখেরে কোনও লাভ হল না সন্দীপদের। সব চেষ্টাই বৃথা গেল তাঁদের।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আগের শুনানিতেই স্পষ্ট বলেছিলেন, কিছু বলার থাকলে নিম্ন আদালতে গিয়ে বলতে হবে। অহেতুক আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। তাই আগের নির্দেশ পরিবর্তন করা হবে না। ঠিক তার পরই ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দারস্থ হয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তবে নিটফল শূন্য।
গত বছরের ৮ আগস্ট গভীর রাতে আরজি করের সেমিনার হলে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রেই সামনে আসে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির বিষয়। সেই মামলায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ বিপ্লব সিং, আফসার আলি, সুমন হাজরা, আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে সিবিআই।