শেষ আপডেট: 25th October 2024 12:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাব বাংলায় যেমন পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তেমন পড়েনি রাজ্যে। কিন্তু মধ্যরাত থেকে কলকাতা সহ একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলছে। শুক্রবার সকালেও থামেনি বর্ষণ। এর জেরে শহর এবং শহরতলির একাধিক জায়গা জলমগ্ন, বহু জায়গায় ভেঙেছে গাছ। হাওয়া অফিসের আপডেট বলছে, কলকাতায় সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যোধপুর পার্কে, ১৪১ মিলিমিটার।
শুক্রবার সারাদিন ধরেই হালকা ঝড় এবং বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে কলকাতায়। রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় বাস-অটোর দেখা প্রায় নেই বললেই চলে। যদিও শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দরেও পরিষেবা স্বাভাবিক। তবে ভারী বৃষ্টির জেরে সড়কপথে যাত্রীদের ভোগান্তি বহাল থাকার আশঙ্কা আজ সারাদিনই। এমনিতেই অল্প বৃষ্টি হলে শহরের বহু এলাকায় জল জমে যায়। শুক্রবার তো আরও জমার কথা।
শুক্রবার ভোর ৪টে থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলকাতার কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে দেখে নেওয়া যাক -
মানিকতলা - ৭৩ মিলিমিটার
বেলগাছিয়া - ৫৮ মিলিমিটার
ধাপা লক - ৬২ মিলিমিটার
তপসিয়া - ১০৩ মিলিমিটার
উল্টোডাঙা - ৫৯ মিলিমিটার
ঠনঠনিয়া - ৭২.৮০ মিলিমিটার
বালিগঞ্জ - ১১৯ মিলিমিটার
মোমিনপুর - ১০৪ মিলিমিটার
চেতলা - ৯৯ মিলিমিটার
কালীঘাট - ৯৯ মিলিমিটার
গড়িয়া - ১২০ মিলিমিটার
জিনজিরা বাজার - ৯১ মিলিমিটার
বেহালা (ফ্লাইং ক্লাব এলাকা) - ৯০.১০ মিলিমিটার
চিংড়িঘাটা - ৬৩ মিলিমিটার
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে আজ সারাদিন। কিছু জায়গায় মূলত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। এছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা বিকেল চারটে পর্যন্ত উত্তাল থাকবে বলেই আভাস মিলেছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র। ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখনই গতি অনেকটাই কমেছে ঘূর্ণিঝড়ের। বিকেল চারটের পর তা আরও দুর্বল হবে।