শেষ আপডেট: 2nd February 2025 22:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবারও আরজি কর! এবার নিজের ঘর থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বিতীয় বর্ষে এমবিবিএস পড়ছিলেন মৃত ছাত্রী। কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
সূত্রের খবর, কামারহাটিতে ইএসআই হাসপাতালে মায়ের কোয়ার্টারে থাকতেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ২০ বছর বয়সি এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শুক্রবার রাতে সেই কোয়ার্টার থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী। তার জেরেই এমন পরিণতি।
যদিও তাঁর ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যুবতীর মা চিকিৎসক। কামারহাটির ইএসআই হাসপাতাল কর্মরত। যুবতীর বাবা মুম্বইয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্তা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টারে নিজের ঘরে একা ছিলেন যুবতী। তাঁকে বারবার ফোন করছিলেন মা। কিন্তু সেই ফোন তিনি ধরেননি। এরপর মেয়ের খবর নাক পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন মা। এরপরই মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। মেয়েকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, যুবতী এমনিতে শান্ত স্বভাবের ছিলেন। বেশি কথা বলতেন না। আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গত ৯ অগস্ট চিকিসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে। তাঁর ধর্ষণ এবং খুন হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই রেশ এখনও কাটেনি। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দণ্ডিত করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ। তার মধ্যে ফের আরজি করের পড়ুয়ার মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।