শেষ আপডেট: 13th March 2025 13:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জিটিএ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা কোনওভাবেই যাতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি না হয়, তা নিশ্চিত করতে মরিয়া রাজ্য সরকার। প্রথমবার তাদের আপত্তিতে বিচারপতি বসু মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সেই মামলা পুনরায় পাঠান বিচারপতি বসুর এজলাসেই। বৃহস্পতিবার মামলাটি উঠলে রাজ্য জানায়, মামলা এই এজলাস থেকে সরাতে তারা প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছে। তারপরই বিচারপতি বসু মামলাটির শুনানি না করে স্থগিতাদেশ দেন।
রাজ্যের তরফে আপত্তি জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে ফের চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির কপি পেশ করা হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ না আশা পর্যন্ত এফআইআর নিয়ে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নোটিশ না করা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর আদালতেই।
জিটিএ-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বলে গত সপ্তাহে জানান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। রাজ্যের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। কারণ, বিচারপতি বসু এই মামলা শুনতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত। এরপর বিরক্তি প্রকাশ করে মামলা ছেড়ে দেন।
এই নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দলের যুবনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যদের। নাম ছিল জিটিএ-র সভাসদ বিনয় তামাং সহ-একাধিক নেতারও। দীর্ঘদিন ধরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মামলাটির শুনানি করছেন। সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিলেন অতীতে। যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। যদিও রাজ্যের বক্তব্য ছিল, এই নিয়োগে কোনও বেনিয়ম হয়নি। পদ্ধতিগত কোনও ত্রুটি থাকতে পারে।
জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ থেকে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের মূল বেঞ্চে এসেছিল। কিন্তু আচমকা মামলা ছেড়ে দেন বিচারপতি। যজিও মামলাটি ফের প্রধান বিচারপতি তাঁর বেঞ্চেই ফেরত পাঠান। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২১ মার্চ।