শেষ আপডেট: 7th March 2025 22:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) যে ঘটনা ঘটেছে তার এক সপ্তাহ হয়েছে। কিন্তু ঘটনার রেশ এখনও বহাল। রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে। এই পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তাঁদের আলোচনায় কি যাদবপুর কাণ্ড উঠে এল?
সাংবাদিক বৈঠকে উপাচার্যদের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার আভাস দিলেও রাজ্যপাল স্পষ্ট করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কেন, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। রাজ্যপাল জানান, মূলত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হিংসার ঘটনা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সেই প্রেক্ষিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েই চর্চা হয়েছে সকলের মধ্যে।
রাজ্যপালের কথায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার, তার জন্য টিম তৈরি করতে হবে। ভয়হীন পরিবেশ তৈরি করা গেলে যে কোনও ধরনের হিংসার ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। এদিকে উপাচার্যদের তরফে বলা হয়, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাবতীয় আলোচনার মূল বিষয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও আনা হবে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে আদালত। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন সকলে। তাঁদের সাফ কথা, বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে কেউ আলোচনা চান না।
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছে। সেখানকার বাম ছাত্র সংগঠন অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে শুরু করে মিছিলও করেছে। এদিকে চুপ নেই বিজেপিও। তাঁরাও নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। রবিবারই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে যাদবপুর এলাকায় মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে তার রুট বদল হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, আপাতত আদালতের অনুমতি ছাড়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনও কর্মসূচি করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক সংগঠন। আগামী রবিবার সুলেখা মোড় থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। এই নির্দেশের পর মিছিলের রুট নবীনা সিনেমা হল থেকে যাদবপুর থানার ১০০ গজ বা ৩০০ ফুট দূর পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে।