শেষ আপডেট: 14th December 2024 17:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শ্যালিকার দেহ কেটে তিন টুকরো করে টালিগঞ্জ চত্বরেই ছড়িয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত। গতকাল গ্রাহামস রোড থেকে উদ্ধার হয় কাটা মাথা। এবার রিজেন্ট কলোনি থেকে উদ্ধার হল দেহের বাকি দুই অংশ। সেগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কর্পস ডিসপোসাল ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ময়নাতদন্তের জন্য।
টালিগঞ্জের গ্রাহামস রোডে কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসনের পাশে শুক্রবার সকালে মহিলার কাটা মাথাটি প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় দেখতে পান এক সাফাই কর্মী। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গল্ফগ্রিন থানার আধিকারিকরা পৌঁছে সেটি উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তদন্তে নেমে গল্ফগ্রিন, নেতাজিনগর ও রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন করে জেলা পুলিশ।
সিটিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও মোবাইলের টাওয়ার ট্র্যাক করে আতিকুর লস্কর নামে এক রাজমিস্ত্রির খোঁজ পায় তারা। তার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে। তাকে শুক্রবার গভীর রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। প্রথমে সে জানায় মৃত খাদিজা বিবিকে সে চেনে। পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। সেই কাজ আতিকুরই দিয়েছিল বলে দাবি করে। কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কাজ দিয়ে সাহায্য করে সে।
আতিকুরের কথায় সন্তুষ্ট হচ্ছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। পরে আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু ক্লু পান তাঁরা। তারপর আতিকুরকে চাপ দিতে ঘটনার কথা স্বীকার করে সে। জানা যায়, ওই মহিলা আসলে আতিকুরের ভগ্নিপতি। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই মহিলার এই পরিণতি বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা দুজনই একই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের অনুমান, প্রথমে মহিলার মাথায় আঘাত করা হয়, তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। দেহটি তিনটি টুকরোতে কাটা হয়। প্রথম টুকরো অর্থাৎ মাথাটি ফেলা হয় গ্রাহামস রোডে। আর বাকি দুই অংশ ফেলা হয় রিজেন্ট কলোনিতে। দেহ লোপাটের জন্যই এই কাজ বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, কেন এত নৃশংসভাবে মারা হল মহিলাকে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের ক্রাইম রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।