শেষ আপডেট: 6th January 2025 18:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের চিট ফান্ড কমিটির সঙ্গেই এবার বড়সড় প্রতারণার অভিযোগ। জানা গেছে, জাল নথি দেখিয়ে এমপিএস নামে চিট ফান্ড সংস্থার ২৫ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সংস্থার আইটি ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। সোমবার তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
পাশাপাশি আদালত দিন সাফ জানিয়েছে, আপাতত কমিটির ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া একেবারেই বন্ধ থাকবে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে তাদের যাতে জেরা করা হয় পুলিশকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধুমাত্র ওই অভিযুক্তরাই নয়, ঘটনায় তালুকদার কমিটির কোনও কর্মী বা অফিসার যদি অভিযুক্ত হয় তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটির সঙ্গে প্রতারণা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কোনওভাবেই যাতে অভিযুক্তরা ছাড়া না পায় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
পাশাপাশি সরকারি কৌঁসুলিকে আদালতের নির্দেশ, পুলিশকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকটা খতিয়ে দেখতে বলুন। হাইকোর্ট এই ব্যাপারে কড়া অবস্থান নেবে। গত নভেম্বরেই চিট ফান্ড কমিটির চেয়ারম্যান বদল করা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তার মাথায় এলেন হাই কোর্টের আর এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। অসুস্থতার কারণে বিচারপতি এসপি তালুকদার এই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। চিটফান্ড কমিটির নতুন চেয়ারম্যান করা হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুব্রত তালুকদারকে।
সারদা-সহ বিভিন্ন চিটফান্ড বা অর্থলগ্নি সংস্থার দ্বারা যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই কমিটির মাথায় ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এসপি তালুকদার। অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, হাই কোর্টের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে তালুকদার কমিটি। তবে সেই কমিটির কাজের খরচ রাজ্য সরকারকেই দিতে হবে।
তার পর থেকে তালুকদার কমিটি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির সম্পত্তির মাধ্যমে টাকা ফেরানোর কাজ করে চলেছে। ইতিমধ্যে প্রতারিতদের অনেকে টাকা ফেরত পেয়ে গিয়েছেন। তবে কাজ আরও বাকি আছে। এর মধ্যেই চিট ফান্ড কমিটির সঙ্গেই প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসতেই আপাতত বন্ধ হয়ে গেলে প্রতারিতদের টাককা ফেরানোর প্রক্রিয়া।