Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 20 April 2025 10:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাখির চোক ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বড় সমাবেশ করতে চলেছে সিপিআইএম (Left's Brigade Rally)। তবে কোনও শরিক দল বা যুব-ছাত্র সংগঠন নয়—এবার সমাবেশের ডাক দিয়েছে বামপন্থী চারটি গণসংগঠন, শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর এবং বস্তিবাসী। মেহনতি মানুষদের একত্র করার আহ্বান জানানো হয়েছে, নাম দেওয়া হয়েছে 'মেহনতি জনতার ব্রিগেড।'
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাতটি মিছিল ব্রিগেডে আসবে এদিন। উত্তরবঙ্গ ও রাজ্যের অন্যান্য প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই মানুষজন এসে পৌঁছেছেন। সভার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা এবং যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এপ্রিলের প্রখর রোদের কথা মাথায় রেখে বেলা তিনটেয় সভা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় মোট ছ’জন বক্তা থাকলেও, তালিকায় নেই বাম শিবিরের অন্যতম মুখ, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা সে অর্থে অন্য কোনও বড় মুখ। তবে থাকছেন মহম্মদ সেলিম।
সভাকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল প্রস্তুতি নিয়েছে আলিমুদ্দিন। সভা রেকর্ড ও সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হবে আটটি ক্যামেরা, একটি ড্রোন এবং একটি জিমি জিব (ক্রেনে লাগানো ক্যামেরা)। কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে বাইরের সংস্থাও। সিপিআইএমের নিজস্ব ডিজিটাল টিমের সদস্যরাও মাঠে নামবেন আজ। মোট ৩০ জনের একটি দল কাজ করবে ভিডিও ও ছবি তোলার জন্য। সংবাদমাধ্যমে ‘লাইভ ফিড’ দেওয়ার ব্যবস্থাও এবার করেছেন বামেরা। এতদিন সাধারণত তৃণমূল বা বিজেপির বড় কর্মসূচিতে দেখা যেত এইসব। ২৬-এর আগে বামেরাও কোমর বেঁধে মাঠে নামছে বলাই বাহুল্য।
সভামঞ্চ তৈরি হয়েছে শহিদ মিনারের দিকে মুখ করে। তবে মেট্রোর কাজের জন্য কয়েকশো মিটার এগিয়ে মঞ্চ তৈরি করতে হয়েছে, ফলে কিছুটা ছোট হয়েছে মূল মাঠের এলাকা। মঞ্চটি তিনটি ধাপে বিভক্ত এবং মাঝখানে থাকবে বক্তৃতার জন্য ‘পোডিয়াম’। মঞ্চের পেছনে বসানো হয়েছে প্লাইউড দিয়ে ঘেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অস্থায়ী প্রোডাকশন কন্ট্রোল রুম (PCR), যেখান থেকে সমস্ত ক্যামেরা, ড্রোন ও অন্যান্য প্রযুক্তি পরিচালনা করা হবে।
সভায় যাঁরা বক্তব্য রাখবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কৃষকসভার অমল হালদার, খেতমজুর সংগঠনের নিরাপদ সর্দার ও বন্যা টুডু, বস্তি উন্নয়ন সমিতির সুখরঞ্জন দে, সিটুর অনাদি সাহু এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এই তালিকায় কেবল সেলিমকেই ‘বড় মুখ’ হিসেবে চেনা যায়, বাকিরা তুলনায় কম পরিচিত।
ভিড় নিয়ে প্রতিবারের মতোই এবারও আশাবাদী বাম নেতৃত্ব। ২০১১-র পর থেকে ব্রিগেড নিয়ে যে প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে, তা হল এই ভিড়কে কি আদৌ ভোটে রূপান্তরিত করা যাবে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, শুধু মাঠ ভরলেই চলবে না, সেই শক্তিকে বুথ পর্যন্ত নিয়ে যেতে না পারলে রাজনৈতিক বাস্তবতায় তার প্রভাব সামান্যই থাকবে।
রবিবার হাওড়া, শিয়ালদহ, হেস্টিংস, এক্সাইড মোড়, সুবোধ মল্লিক স্কয়্যার, পার্ক সার্কাস, মৌলালি এবং সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে ব্রিগেডের উদ্দেশে মিছিল বের হবে। ইতিমধ্যেই জমায়েত শুরু হয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। উত্তরবঙ্গ এবং রাজ্যের অন্যান্য প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছেন ব্রিগেডে। শনিবার রাতে শেষ মুহূর্তের সেরে ফেলা হয়। উপস্থিত ছিলেন আভাস রায়চৌধুরি-সহ অন্যান্যরা।
শহরে যানবাহনের চাপ তুলনায় কম থাকলেও, লালবাজার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোতায়েন থাকবে বাহিনী। যান চলাচল ও পার্কিং নিয়ন্ত্রণে থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। উপস্থিত থাকবেন উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও।
Advertisement
Advertisement