শেষ আপডেট: 24th August 2024 17:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ''প্রশাসন কী করেছে যে ভয় পাবে? এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক খেলা।'' আগামী মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ছাত্র সমাজ। তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম মনে করছেন এগুলি সবই রাজনীতি চলছে। তাই এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট কথা, আন্দোলনে নামানোর জন্য শুধু উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। এখন আর বিষয়টি শুধু আন্দোলন নেই, প্রতিযোগিতা হয়ে গেছে।
আরজি কর কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে ফিরহাদ বলেছেন, যা ঘটেছে তা ন্যক্কারজনক। কড়া শাস্তির দাবি সকলে করছে, তাঁরাও চান জাস্টিস। ফিরহাদের আশা, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট দেখছে, খুব তাড়াতাড়ি দোষীরা শাস্তি পাবে। তাঁর কথায়, ''আমি মনে করি বিচার হবেই। শুধু সিবিআইকে অনুরোধ করব তাড়াতাড়ি তদন্ত করতে। আমরা বিচার ব্যবস্থার উপরে বিশ্বাস করছি।'' তবে এই ঘটনা যে শুধু কলকাতা বা বাংলার চিন্তা বাড়িয়েছে তা তিনি মনে করেন না। মেয়রের বক্তব্য, গোটা ভারতবর্ষে এই জিনিস ঘটছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ধর্ষণের খবর আসছে প্রতিদিন। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে হিংসা এবং ঘৃণার রাজনীতি বাড়ছে। উগ্রতা দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আসে না। সমাজ পরিবর্তন করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। এমনই মত তাঁর।
আরজি কর কাণ্ডের নিন্দা করলেও নবান্ন অভিযানকে পুরোপুরি রাজনীতি বলছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর নিশানায় রয়েছে বিজেপি এবং সিপিএম। ফিরহাদের কথায়, কখনও কেউ সন্দেশখালি নিয়ে ভুল প্রচার করছে, কখনও আবার এই বিষয় নিয়ে। কিন্তু কোনও লাভ হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আগেও ছিল, আগামী ৫০ বছর থাকবে। এমনটাই দাবি তাঁর। এদিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সিভিক ভলেন্টিয়ার সিম কার্ড দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্বই দিতে চাননি ফিরহাদ।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের সিম কার্ড দিচ্ছে সরকার, আর তা দিয়ে অপকর্ম করা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ। এই বিষয়ে মেয়র বলেন, ''সরকারের খেয়েদেয়ে কাজ নেই সিম কার্ড দেবে। এটা বাস্তবে সম্ভব নয়। আসলে ২০০ পার ভোগে গেছে, ৪০০ পার মায়ের ভোগে চলে গেছে। এখন এইসব উস্কানি দিয়ে বাংলায় ভাগাভাগির চেষ্টা করা হচ্ছে।'' তাঁর পাল্টা অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছেন। বিজেপি উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ করে হাসপাতালেও বিভাজন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিরহাদ।
উল্লেখ্য, কেন নবান্ন অভিযান, কী দাবি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে ছাত্র সমাজের সদস্যরা। তাঁদের তিনটি দাবি, এক: নির্যাতিতার সুবিচার। দুই, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যাঁরা যুক্ত তাদের শাস্তি এবং তিন, পুলিশমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ।