শেষ আপডেট: 31st January 2025 19:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় যোগী সরকারকে তীব্র নিশানা করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায় একদিকে যেমন উঠে এল গঙ্গাসাগর প্রসঙ্গ, অন্যদিকে কলকাতার প্রৌঢ়ার মৃত্যু নিয়েও যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। ফিরহাদের মন্তব্য, 'যেন মানুষ নয়, গরু-ছাগল মারা গেছে।'
কলকাতার যে প্রৌঢ়া মারা গেছেন তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার বলেন, ''কোনও কাগজ দেওয়া হয়নি। একটা চিরকুট ধরিয়ে দিয়েছে। এতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। মনে হচ্ছে মানুষ মারা যায়নি, গরু-ছাগল মারা গেছে। যেভাবে করোনার সময় লাশ ভাসিয়ে দিয়েছিল। এটাই ডাবল ইঞ্জিনের সরকার।''
বিজেপি সবসময়ই বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এবার তাদেরই পাল্টা দিয়ে ফিরহাদ বলেন, রোজ আগুন জ্বলছে সে রাজ্যে। মানুষ খুন হচ্ছে। আবার এখন পদপিষ্টের ঘটনা। গঙ্গাসাগর প্রসঙ্গ টেনে তাঁর মন্তব্য, ''আজকে আমরা বুঝতে পারছি কেন মুখ্যমন্ত্রী আমাদের গঙ্গাসাগরে থাকতে বলেন। পুজোতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ভিআইপিকে ঢুকতে দেন না। কারণ পদপিষ্ট হয়ে মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।''
পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, ''নিহতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেলেও অস্বাভাবিক কিছু নেই!'' প্রায় একই সুর ফিরহাদের গলায়। তিনি বলছেন, ''কত মানুষকে এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু চেপে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মৃতের সংখ্যা লোকানোর চেষ্টা হচ্ছে।''
আসলে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে নানা মহলেই প্রশ্ন। তার ওপর মৃতদের পরিবারকে ডেথ সার্টিফিকেট, পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট না দিয়ে জোর করে চিরকুটে সই করে মৃতদেহ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবে তাহলে কীভাবে ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য আবেদন করবেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা, সেই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে।