শেষ আপডেট: 8th December 2024 15:42
কলকাতা ব্যুরো: কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে আরও কিছু অস্ত্র হাতে এল পুলিশের। ধৃত লক্ষ্মণ শর্মা ওরফে ছোটু-কে জেরা করতেই আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গত মঙ্গলবারই বিহারের বৈশালী থেকে তাকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা। অভিযুক্তর কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালাতেই মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।
শনিবার সন্ধ্যায় কসবার বোসপুকুরের একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে নাইন এমএম পিস্তল, দু’টি ম্যাগাজিন এবং ১২ রাউন্ড কার্তুজ রয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের পরিকল্পনার ঘটনায় আরও কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের দাবি, শ্যুটার যুবরাজ সিংকে স্কুটারে চাপিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে এসেছিল ছোটু। শ্যুটার ধরা পড়লেও স্কুটার চালক পালিয়ে যায়। হামলায় ব্যবহৃত স্কুটার বন্ডেল গেটের কাছের গলি থেকে আগেই উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
কসবার অ্যাক্রোপলিস মলের অদূরে স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বাড়ি। গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনে তাঁকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় বিহার থেকে অস্ত্র আনা এবং সেই অস্ত্র লুকিয়ে রাখার কাজে যুক্ত ছিল মহম্মদ আলি।
ঘটনার দিনই যুবরাজ সিং নামে এক তরুণকে হাতে নাতে ধরে ফেলেছিলেন এলাকার বাসিন্দার। তাকে জেরা করে গুলজার এবং এক ট্যাক্সি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে এক সপ্তাহ আগে ফুলবাবু নামে বিহারের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে মহম্মদ আলির সন্ধান পান তদন্তকারীরা।
এর আগে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সময় লক্ষ্মণের কাছেও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সেই আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে ঘটনাস্থলের কাছে এক খালে ডুবুরি নামিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সেখান থেকে কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে, শনিবার যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সেগুলিই লক্ষ্মণের কাছেই ছিল। পালানোর সময় সেখানে ফেলে দিয়ে গেছিল।
প্রসঙ্গত, কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে দুষ্কৃতীরা ৫০ লক্ষ টাকায় রফা হয়েছিল বলে আগেই পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। সূত্রের দাবি, জেরায় পুলিশের কাছে আফরোজ ওরফে গুলজার খান নাকি স্বীকার করেছে যে সুশান্তকে খুনের পুরো ভার দেওয়া হয়েছিল বিহারের পাপ্পু গ্যাংকে। গ্যাংয়ের এক সদস্য এক মাস আগে থেকেই কলকাতায় ঘাঁটি গেড়ে সুশান্তর গতিবিধি নজর রাখছিল বলে ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে পুলিশ।