শেষ আপডেট: 19th September 2024 00:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিন দিনের ব্যবধানে ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার নবান্ন বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক শেষে কি কর্মবিরতি উঠে যাবে? এই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, জুনিয়র চিকিৎসকরা নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার পরই, সল্টলেকের ধর্না মঞ্চ থেকে বেশকিছু টেবিল ফ্যান গাড়ি করে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া হয়েছে! এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।
আমজনতা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট মহল, সবাই একজোট হয়ে ডাক্তারদের এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। স্বাস্থ্যভবনের সামনে লাগাতার ধর্না করা জুনিয়র ডাক্তারদের কোনও দিন খাবার বা অন্য কিছুর অভাব হয়নি। সাধারণ মানুষই তাঁদের জন্য সবকিছু নিয়ে এসেছেন। বাকি সব কিছুর সঙ্গে আনা হয়েছিল বহু ফ্যান। কিন্তু বুধবার যখন জুনিয়র ডাক্তাররা নবান্নে বৈঠক করছিলেন সেই সময়ই দেখা যায় সেই ফ্যানগুলিই একে একে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! শুধু তাই নয়, ধর্না মঞ্চও ফাঁকা হয়েছে আস্তে আস্তে, খোলা হয়েছে বাঁশও। কী কারণ?
কেউ কেউ মনে করছেন, ধর্নাস্থলে হয়তো 'ইনপুট' এসেছে কর্মবিরতি ওঠার। তাই আস্তে আস্তে ধর্না মঞ্চ খালি করা হচ্ছে। কিন্তু অন্য এক পক্ষের দাবি, আন্দোলনের রাশ ধরে রাখতে পারছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। শুধু ফ্যান নিয়ে যাওয়া বা বাঁশ খোলা ফ্যাক্টর নয়, খালি হচ্ছে ধর্নাস্থলও। আগের মতো আর মানুষ আসছেন না তাঁদের সঙ্গে ধর্না দিতে! কর্মবিরতি উঠে গেলে ভাল, কিন্তু যদি তা না হয় তাহলে এই বিষয়টি জুনিয়র ডাক্তারদের চিন্তা হয়ে দাঁড়াবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ ম্যারাথন বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের পাঁচটি দাবির মধ্যে চারটি মেনে নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ দুই শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তাকে বদলিও করেছেন। তারপরে অনেকেই মনে করেছিলেন আন্দোলনকারীরা এবার কাজে ফিরবেন। তবে বাস্তবে তা হয়নি। উল্টে আরও বেড়েছে আন্দোলনের ঝাঁঝ।
জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত যে নিরাপত্তার কথা সরকার বলছে তা থিওরেটিকাল তথা তাত্ত্বিক। মেডিকেল কলেজে হুমকির সংস্কৃতি ও পরিবেশে লাগাম টানতে যে ধরনের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ও নজরদারি থাকা উচিত তা সরকারি প্রস্তাবে নেই। অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই নিয়েই আজকের এই বৈঠক নবান্নে। তবে তার আগে ধর্নাস্থলেই এই ছবি কৌতূহল বাড়িয়েছে।