এসএসকেএম হাসপাতাল ট্রমা কেয়ার ইউনিট
শেষ আপডেট: 12th November 2024 07:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রেফার রোগ যেন থামছেই না। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে রোগী হয়রানি বন্ধের জন্য কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা চালুর দাবিকরেছিল 'জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট'। কিন্তু এখনও রোগী ভোগান্তি যে অব্যাহত, আবারও তার প্রমাণ মিলল।
রোববার জেলা থেকে শহরের তিনটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে পারেনি কান আর মাথায় আঘাত লাগা এক শিশু। প্রথমে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে রেফার করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। আবার এনআরএস-এ নিয়ে গেলে সেখান থেকেও রেফার করে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানের ট্রমা কেয়ার থেকে জরুরি বিভাগে পাঠানো হয় শিশুটিকে। জরুরি বিভাগ থেকে ফের পাঠানো হয় ট্রমা কেয়ারে।
এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেয়, ট্রমা কেয়ারে শিশুর চিকিৎসা হবে না। তখন ওই আহত শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে। সেখান থেকে বলা হয় তাদের চিকিৎসা পরিকাঠামো নেই। শিশু মঙ্গল হাসপাতাল থেকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে যায় শিশুর পরিবার। খবর জানাজানি হতেই অবশেষে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি নেওয়া হয় তিন বছরের ওই শিশুকে।
বাঁকুড়ার বাসিন্দা অভিষেক রায় নামে সেই শিশুটি রবিবার সকালে বাড়িতেই খেলা করছিল। উঠোনে রাখা টোটোয় চাবি লাগানো ছিল। ওই শিশুর পরিজনেরা জানাচ্ছেন, খেলার সময়ে সে ওই টোটোর চাবি ঘুরিয়ে ফেলে। তাতেই ঘটে বিপত্তি। টোটো চালু হয়ে যাওয়ায় সেটি অভিষেকের উপরে উল্টে পড়ে। তারপরেই তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল ঘুরতে থাকেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া এক রোগীকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হলে বেড খালি নেই বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল। ৫ নভেম্বর সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ঘুরে বেড না পাওয়ায় চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এই আবহেই এবার তিন বছরের শিশুকে নিয়ে প্রায় সাড়ে দশ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে হল পরিবারকে।