দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'জামতারা' গ্যাং? ঘটনা শুনে এমনই মনে হবে। কলকাতার এক মহিলাকে ক্রমাগত ফোন করে ভয় দেখানো, আর্থিক দুর্নীতিতে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি! এরপরই তাঁর খোয়া গেল ৫১,০০০ টাকা। পুলিশে মহিলা জানিয়েছেন, তাঁকে দিল্লি পুলিশ এবং সিবিআই আধিকারিকরা ফোন করেছিল! 

টাকা হারানোর পর ওই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, আচমকা ফোন আসতে শুরু করে তাঁর কাছে। তাঁকে বলা হয়, তাঁর নামে ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে যেখান থেকে একাধিক অপরাধীদের টাকা পাঠানো হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির দায়ে তাঁকে জেলে যেতে হবে। কারা করেছিল এই ফোন? মহিলার দাবি, তাঁর কাছে যে নম্বর দিয়ে ফোন এসেছিল সেটি দিল্লি পুলিশের এক অফিসারের! পরে পুলিশি তদন্ত জানা যায়, পুরোটাই ভুয়ো ব্যাপার। 

কীভাবে প্রতারণার শিকার হলেন মহিলা? ভুয়ো পুলিশ এবং সিবিআই অফিসার সেজে যারা ফোন করেছিল তারা তাঁকে 'স্কাইপ' ডাউনলোড করতে বলে। মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর থেকে আধার নম্বরও নিয়েছিল তারা। এমনকী, আলাদা ঘরে গিয়ে ভিডিও কলে একটি বয়ান রেকর্ড করতেও 'নির্দেশ' দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আসল কাজটি এরপরই হয়। মহিলার অভিযোগ, ওই 'সিবিআই অফিসার' তাঁকে একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে বলেন সেটি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফায়েড কিনা তা প্রমাণ করতে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে হবে, যা ১৫ মিনিট পর ফেরত পেয়ে যাবেন। 

তিনি যাতে টাকা পাঠাতে অস্বীকার না করেন তার জন্য একটি নোটিসও পাঠানো হয় মহিলাকে। তাতে লেখা ছিল, সিবিআই-র নির্দেশ মতো টাকা না পাঠালে আর্থিক দুর্নীতির দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এরপরই ৫১,০০০ টাকা ওই অ্যাকাউন্টে পাঠান মহিলা। তবে তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন তা বুঝতে খুব একটা সময় লাগেনি।