শেষ আপডেট: 21st October 2024 19:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জামিনের আবেদন মঞ্জুর হলেও লাভের লাভ হল না। পুজো মিটতেই ফের বিপাকে পড়লেন রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বাকিবুর রহমান। এবার প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই মামলায় একাধিক তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে। অভিযোগ, জেলের বাইরে থাকলে প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সে কারণেই দেরি না করে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বাকিবুরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গত ২৭ অগস্ট বিশেষ ইডি আদালতে ব্যক্তিগত ৫০ লক্ষ টাকার বন্ডে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর জামিন মঞ্জুর হয়। শুধু বাকিবুর নয়, একইসঙ্গে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন শঙ্কর আঢ্য এবং বনগাঁর তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাসও।
রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথম থেকেই ইডির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে না থাকায় তিনজনের জামিন মঞ্জুর করে বিশেষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কোনও মামলায় কাউকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা যায় না। সেকারণেই বাকিবুর-সহ বাকি দু’জনের জামিন মঞ্জুর হয়।
ইডি সূত্রে খবর, সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় অনেক তথ্য হাতে উঠে এসেছে। সেকারণেই ফের তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত ১৩ অক্টোবর বাকিবুরকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পাশাপাশি কলকাতায় তাঁর কৈখালির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। বাদ যায়নি উত্তর চব্বিশ পরগণায় অবস্থিত তাঁর একাধিক চালকল, গমকলেও।
ইডি সূত্রে দাবি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর সঙ্গে অনেক প্রভাবশালীর যোগাযোগ রয়েছে। জেলের বাইরে থাকলে তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা থেকেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকিবুরের বাড়ি থেকে পাওয়া নথির সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।