প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 8th November 2024 20:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রায়ই মাকে মারধর করত ছেলে। এর আগে সেই অভিযোগে একবার গ্রেফতারও হয়েছিল যুবক। বুধবার রাতে ফের বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। মনে করা হচ্ছে তারই অভিঘাতে তিন তলার ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপ দেন বৃদ্ধা। যার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে। পুলিশের ধারণা, বৃদ্ধা হয়তো আত্মঘাতীই হয়েছেন। তবে, ছেলের কথা মাথায় রেখে ঠেলে ফেলে দেওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তাঁরা।
মৃতার নাম সবিতা রায় (৭৩)। বুধবার রাতের ঘটনার পর এলাকার লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই মারা যান তিনি। ঘটনার পর থেকেই সবিতার ছেলে রাজু পলাতক।
ছেলের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, বরাহনগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনচন্দ্র দাস রোডের বাসিন্দা সবিতার বাড়ির জমিতে কয়েক বছর আগে চারতলা ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। তারই তিন তলার ফ্ল্যাটে ছেলে, বৌমা ও নাতনির সঙ্গে থাকতেন সবিতা।
প্রতিবেশীদের কথায়, গ্রিল কারখানার কর্মী রাজু প্রতি রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত। এলাকার লোকজনকে গালিগালাজ করার পাশাপাশি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে মায়ের সঙ্গে অশান্তিও করত বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কয়েক বছর আগেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সবিতা। তখন রাজু গ্রেফতার হয়েছিল। পরে ছাড়া পেলেও কমবেশি অশান্তি লেগেই ছিল বাড়িতে।
বুধবার রাতেও বাড়িতে ফিরে সবিতাকে মারধর শুরু করে রাজু। অভিযোগ, কিছু ক্ষণ এমন চলার পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ খোলা বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান সবিতা। স্থানীয়েরা প্রথমে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অশান্তির কথা স্বীকার করে বৃদ্ধার বৌমা কাকলি রায়ের দাবি, ওই দিন আলমারির চাবি কোথায় রেখেছেন, মনে করতে পারছিলেন না তাঁর শাশুড়ি। উল্টে বৌমাকে চোর অপবাদ দেন। কাকলি বলেন, 'এ নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে বচসা হয়। ওই সময়ে ও মাকে মেরেছিল। এর পরে সকলে নিজেদের ঘরে ঢুকে যাই। পরে আওয়াজ পেয়ে বাইরে আসি।'