শেষ আপডেট: 15th April 2025 11:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনই জাল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে তারা। কলকাতা, বিরাটি এবং নদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় এখনও অভিযান চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
গত বছরের শেষদিকে ভুয়ো নথি ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরির ঘটনা প্রথম সামনে আসে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট দপ্তরের তরফে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে পাসপোর্ট তৈরির একটি বড় চক্রের কথা। তারপর একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। মামলায় পুলিশ মোট দশজনকে গ্রেফতার করে, যাদের মধ্যে একজন প্রাক্তন পুলিশকর্মী, সঙ্গে ডাক বিভাগের দুই কর্মী রয়েছেন। এরপরই জানা যায়, রাজ্যজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এই চক্রের জাল।
গত মাসে ভবানীপুর থানার তরফে মামলার চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ১৩০ জন। এদের মধ্যে ১২০ জনই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা নকল নথি জমা দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ‘লুক আউট নোটিস’ও জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তভার নেয় ইডি এবং এবার তারা আরও সক্রিয়ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সংস্থার আধিকারিকেরা।
২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রথম জাল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির অভিযোগ দায়ের হয় ভবানীপুর থানায়। মামলায় প্রাথমিকভাবে ৩৭ জনের নাম উঠে আসে। অভিযোগ, অভিযুক্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জাল নথি জমা দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করতেন। এরপর বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে পুলিশ। পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করা হয় রিপন বিশ্বাস, দীপক মণ্ডল, সমরেশ বিশ্বাস এবং দীপঙ্কর দাস-সহ কয়েকজনকে। অভিযানে উদ্ধার হয় একাধিক কম্পিউটার, ভুয়ো ব্যাঙ্কের নথি, ৩৬টি পাসপোর্টের কপি এবং ভিসা।
মঙ্গলবার ফের অভিযান চালানো হয়েছে, এখনও তল্লাশি চলছে ওই সব এলাকায়। কী নথি তদন্তকারীদের হাতে আসে, সেটাই এখন দেখার।