শেষ আপডেট: 6th September 2024 08:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি ইস্যুতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে অন্য এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডিও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তে তৎপর। শুক্রবার ভোরে তাঁরাই অভিযান চালানো সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে। এদিন ভোর ৬টা ৪০ নাগাদ ৪ জন ইডি আধিকারিক পৌঁছে যান সেখানে।
গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এতএব তাঁর বাড়িতে থাকার কথা নয়। তবে দুর্নীতির তদন্তেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। তাঁদের আধিকারিকদের সঙ্গে আছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। তবে শুক্রবার শুধু সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেই নয়, আরও কয়েক জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। হাওড়ার সাঁকরাইলে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ দুজনের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁদের মধ্যে একজন ভেন্ডর বিপ্লব সিনহা এবং অন্যজন বিপ্লব-ঘনিষ্ঠ কৌশিক কোলে। দুজনেরই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপের মতো বিপ্লব সিনহাকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই শুরু করার পরপরই সেই সংক্রান্ত সব নথি দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছিল। তখনই বোঝা গেছিল যে, কিছু দিন পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তৎপর হবে ইডিও। এখন ঠিক তেমনটাই হল। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ-সহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন। এইসব অভিযোগ ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে।
সন্দীপ ঘোষের মতো আরও তিনজনকে একইসঙ্গে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই তিনজন হলেন বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরা। ধৃতদের মধ্যে বিপ্লবের সংস্থা নানা হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করত। আগেই তাঁর বাড়ি এবং সংস্থার অফিসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। অন্যদিকে সুমন হাজরার ওষুধের দোকানেও তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। আর আফসর সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এরই মধ্যে আবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাউজ স্টাফ নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই ইতিমধ্যে আদালতে জানিয়েছে, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে সন্দীপ ঘোষ নিজের মর্জি মাফিক ৮৪ জন ডাক্তারকে হাউজ স্টাফ হিসাবে নিয়োগ করেছেন। যাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি।