আর্থিক প্রতারণা মামলা হওয়ায় তদন্তে নামে ইডিও। আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় তদন্তকারীরা।
ইডি অভিযান
শেষ আপডেট: 21 May 2025 12:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাত সকালে কলকাতার তিন জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED Raid)। বুধবার গণেশ টকিজ এলাকায় হানা ইডির। কমল সিং নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় বলে খবর।
সূত্রে খবর, কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রীটের বাসিন্দা কমল সিং বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। নিজের বাড়িতে ভাড়াও দেন তিনি। এদিন সকালে ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের একটি দল তাঁর ঠিকানায় পৌঁছায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় বাড়িটি। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, কমল সিংয়ের বাড়িতে চারজন মহিলা পেইনগেস্ট হিসেবে থাকছিলেন। ডিজিটাল অ্যারেস্টকাণ্ডে তাঁদের ঘরে ঢুকেই তল্লাশি শুরু হয়। বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest) মামলায় তদন্ত শুরু করতেই বাংলায় কয়েকশো 'মিউল অ্যাকাউন্ট'-এর সন্ধান পায় ইডি। এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন,'ডিজিটাল অ্যারেস্ট'-এর ফাঁদে পড়ে প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন। এরপরই তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। চিরাগ কাপুর ও যোগেশ দুয়ার গ্রেফতার হন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরু থেকে চিরাগকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যোগেশের নাম উঠে আসে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে
আর্থিক প্রতারণা মামলা হওয়ায় তদন্তে নামে ইডিও। আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় তদন্তকারীরা।
জানা যায়, প্রতারণা চক্রের মূল 'মাথা' চিরাগ কাপুর। বাড়ি কলকাতায় হলেও দিল্লি ও বেঙ্গালুরু থেকেই কারবার চালাতেন। বয়স্কদেরই প্রধান টার্গেট করা হত। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ৯০০-র বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । ইডি গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছিল, কেবল ডিজিটাল অ্যারেস্ট নয়, আরও একাধিক পদ্ধতিতে সাইবার জালিয়াতির চক্র চালাত চিরাগ-যোগেশ।
গত মাসেই 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট'-এর শিকার হন রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামীজি। জানা গিয়েছিল, রামকৃষ্ণ মিশনের গোয়ালিয়র আশ্রমের সেক্রেটারি স্বামী সুপ্রদীপ্তনন্দকে টানা ২৬ 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' করে আটকে রাখে সাইবার অপরাধীরা। তারা প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বলেই অভিযোগ ছিল।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওড়িশার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ইডির নাম করে 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট'-এর ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ ছিল উপাচার্যর।