শেষ আপডেট: 10th September 2024 11:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিজের বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলেছিলেন। রেখেছিলেন আত্মীয়র বাড়িতে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পরের পর এক্সেল শিটে তাঁর আয়-ব্যয়ের হিসেবে ঠাসা ল্যাপটপটি উদ্ধার করলেন ইডির গোয়েন্দারা। এটাই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মহা অস্ত্র বলে মনে করছেন তাঁরা।
আগেও উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তা ঢোপে টেকেনি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চারতলার সেমিনার রুম থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারে পর রাজ্যজুড়ে যে ঝড় উঠেছে, তাতেই ফের আগল ওঠে। সামনে আসে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি এই মামলার তদন্তভাব নেওয়ার পরেই সন্দীপ ঘোষকে কয়েক দফায় দফতরে ডেকে ডিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
পরবর্তীতে নথির খোঁজে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, এমনকী শ্যালিকার বাড়িতেও দফায় দফায় তল্লাশি হয়। তল্লাশি চালানো হয় ক্যানিংয়ে তাঁর বাগানবাড়িতেও। অবশেষে উদ্ধার হয়েছে সন্দীপ ঘোষের একটি ল্যাপটপ। ইডি সূত্রে খবর, এই ল্যাপটপেই রয়েছে দুর্নীতির নানা তথ্য। টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। এক্সেল ফাইলে রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেব। ইডি গোয়েন্দারা মনে করছেন মামলা সাজানোর জন্য তাঁদের হাতে মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে সন্দীপ ঘোষের এই ল্যাপটপটি।
সব বুঝেশুনেই এই ল্যাপটপ বাড়িতে না রেখে তিনি আত্মীয়র বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা। ল্যাপটপটি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।