শেষ আপডেট: 14th October 2024 16:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে যখন গোটা শহর তোলপাড়, তার মধ্যেই মুকুন্দপুরের এক নার্সিংহোমের ডাক্তারদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তাঁদের অভিযোগ, রোগী মারা যাওয়ার পরও বিল বাড়িয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা যাচ্ছে, অষ্টমীর দিন বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন বরানগরের এক যুবক। প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতাল তারপর সেখান থেকে মুকুন্দপুরের নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তারপরই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। যদিও বিল বড়ানোর অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, 'চিকিৎসকদের শুধু ঘেরাও করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেউ তাঁদের মারধর করেনি। তেমনই যদি হয়, হাসপাতালের ক্যামেরায় সবটা ধরা থাকবে। দেখাক, আমরা ধাক্কা দিয়েছি। মারধর করেছি। আমাদের যদি ভাঙচুর করার মেন্টালিটি থাকত, তাহলে গোটা নার্সিংহোম ভাঙচুর হয়ে যেত।'
পরিবারের অভিযোগ, 'বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন রোগী। সবাই টাকা জোগাড় করে ওর চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছিলাম। ডাক্তারদের আমরা ভগবান মানি। মিথ্যে বলে বলে রোগী মারা যাওয়ার পর বিল বাড়িয়ে দিল।'
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর ১৪ অগস্ট আরজি করে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তারপর সাগর দত্ত হাসপাতাল ও এসএসকেএমেও হামলার ঘটনা ঘটে। আর এবার বেসরকারি নার্সিংহোমেও হামলার অভিযোগ উঠল।