শেষ আপডেট: 17th March 2025 15:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বসিরহাট আদালতে বিচারককে হেনস্থার ঘটনায় আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার অভিযুক্ত ছয় আইনজীবীকে তলব করল ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৮ মার্চ অভিযুক্তদের এজলাসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ ওই মামলাটির শুনানি ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র এজলাসে। এদিনও গোটা ঘটনা নিয়ে কড়া মনোভাব দেখান বিচারপতি দেবাংশু বসাক। প্রশ্ন করেন, 'আদালতে সিজ ওয়ার্ক হলেই কাজ বন্ধ রাখতে হবে? রাজ্য একজন এপিপির জন্য কেন খরচ করবে?' তাঁর বক্তব্য, ওই আদালতে যেটুকু সামনে এসেছে, সেটাহিমশৈলের চূড়ামাত্র।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক শুনানি চলাকালীন মনে করিয়ে দেন, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১২ সালে আদালতে কাজ বন্ধের জন্য ফৌজদারি মামলা হয়েছিল নির্দিষ্ট ওই ছ'জনের বিরুদ্ধে। তাঁরাই আবার হলফনামায় দাবি করেছেন, ভাল পরিবার থেকে এসেছেন। অথচ ২০১২ সালেও একই ঘটনায় তাঁদের নাম জড়িয়েছিল।
উল্লেখ্য, বসিরহাট আদালতে অ্যাডিশনাল ডিট্রিক্ট জাজকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বিচারকের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানান তিনি। মামলাটির শুনানি চলছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। ভিডিওগ্রাফি দেখে আদালত এক সরকারি আইনজীবী-সহ ২১ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় আদালত অবমাননার রুল জারির সিদ্ধান্ত নেয়।
আদালতের নির্দেশ ছিল, ফৌজদারি ধারায় রুল জারি হওয়া আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেবিষয়ে শুনানির মাধ্যমে আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এদিকে অ্যাডিশনাল ডিট্রিক্ট জাজ হেনস্থার বিষয়টি অভিযোগের আকারে চিঠিতে লিখে জেলা বিচারকের কাছে জমা দেওয়া হয় গত ১০ জানুয়ারি। সেই চিঠি জেলা বিচারক কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে পাঠান। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি যাতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেন সেই আর্জি জানানো হয়। তারপরই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ তৈরি করে মামলাটির শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।