শেষ আপডেট: 1st March 2024 21:16
রাজনীতিতে নিত্য বলে কিছুই নেই. সবই অনিত্য।
উনিশের লোকসভা ভোটের সময়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুর লোকসভা আসন হল তাঁর নির্বাচন কেন্দ্র। সেখান থেকেই বাংলায় ভোট প্রচার শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাঁচ বছর ঘুরতে না ঘুরতে পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে শুক্রবার আরামবাগে নরেন্দ্র মোদীর সভায় আমন্ত্রণই পেলেন না রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। মঞ্চে না থাকায় মোদীর মুখেও শোনা গেল না প্রাক্তন সেনাপতির নাম।
এমন একটা পরিবেশে দিলীপ ঘোষ কেমন বোধ করছেন, তিনি কতটা আহত তা জানতে চাওয়ার কৌতূহল স্বাভাবিক। দিলীপ ঘোষও তাঁর মনের কথা উজাড় করে দিলেন দ্য ওয়ালের কাছে।
দিলীপ পষ্টাপষ্টি বলেন, 'আমাকে ডাকেনি তাই যাইনি. না ডাকলে আমি যাই না। ঠেলেঠুলে জোর করে ছবি তোলা, মুখ দেখানো এসব আমার স্বভাবে নেই।'
তাঁর কথায়, 'অনেকে মঞ্চে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি করে, তাঁরা মনে করে এটাই পার্টির জন্য কাজ। আমি মনেকরি এগুলো পার্টির জন্য কাজ নয়, সারাদিন তাই মানুষের সঙ্গে ছিলাম, সাংসদ হিসাবে কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছি।'
দিলীপকে প্রশ্ন করা হয়, আরামবাগে আপনার অনুপস্থিতি নিশ্চয়ই দলের অনেকের নজরে পড়েছে। তাঁদের হয়তো খারাপ লাগছে। প্রশ্ন শেষ করার আগেই দিলীপ বলেন, 'সেটা তো স্বাভাবিক। আমি রাজ্য সভাপতি ছিলাম, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ছিলাম, এখন তো কোনও সাংগঠনিক পদে নেই, সে জন্যই বোধ হয় ডাকে না'।
দিলীপ অবশ্য বলেছেন, তাঁকে আরামবাগে ডাকলে খুশিই হতেন। প্রধানমন্ত্রীর সভা যখন, তখন নিশ্চয়ই যেতেন।
এর আগে সন্দেশখালি পর্বেও দেখা গিয়েছে যে বিজেপির কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষ নেই। তা নিয়েও তাঁর খেদের কথা দ্য ওয়ালকে জানিয়েছিলেন দিলীপ। তিনি বলেছিলেন, 'সন্দেশখালিতে তাঁকে ডাকা হয়নি, তাই যাননি।' তিনি দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু-সুকান্তদের তুলনায় তিনি অনেক বেশি চেনেন সন্দেশখালি। তাঁর কথায়, 'ওরা না ডাকলেও ন্যাজাটের কর্মীদের ডাকে সেখানে গিয়েছিলাম। সন্দেশখালিতে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।'
দিলীপের এই পরিণতি নিয়ে আবার বিজেপির মধ্যেই একাংশ নেতা পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। দলের এক রাজ্য নেতা বলেন, 'এক মাঘে শীত যায় না। দিলীপ যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনেককেই উঠতে দিতেন না। একবার বাবুল সুপ্রিয়কে উঠতে দেননি। বাবুল তখন কেন্দ্রের মন্ত্রী, এখন দিলীপেরও সেই অবস্থা। চিরকাল সবার সমান নাহি যায়।'