শেষ আপডেট: 30th January 2025 13:31
ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের হেলে পড়া বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দারা। কারণ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁদের! প্রশ্ন করছেন, 'আমাদের কী হবে? কোথাও যাব আমরা?'
বহুতলের এক বাসিন্দা সুপ্রিয়া মাইতির কথায়, সংবাদমাধ্যমে যা দেখাচ্ছে সেইটুকুই তাঁরা বাড়ি ভাঙা সম্পর্কে জানেন। আলাদা করে পুরসভার তরফে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি বা নোটিস দেওয়া হয়নি। তিনি বলছেন, ''বাড়ি ভাঙা হবে বলছে, কিন্তু আমাদের জায়গা কোথায় হবে, আমরা কোথায় যাব? আমাদের কোনও নোটিসও দেওয়া হয়নি।'' এতএব তাঁর কথায় স্পষ্ট, কলকাতা পুরসভার কাজে তাঁরা অসন্তুষ্ট।
আগামী সোমবার এই ভাঙার কথা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছিল। কিন্তু বুধবার এই সংক্রান্ত বৈঠকের পরই আজ থেকে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কেন এই ব্যাপারটা তাঁদের জানানো হল না, কেন আচমকা বাড়ি ভাঙার কাজ আগে থেকে শুরু করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিনা মোদক নামের অন্য এক বাসিন্দা।
পুরসভা যে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করছে তা গতকাল রাত পর্যন্তও তাঁরা জানতেন না বলে দাবি করেছেন রিনা। তাঁর কথায়, ''আমরা কি পথে বসব? ৪ তারিখ ভাঙা হবে বলে শুনেছিলাম, তাহলে রাতারাতি ৩০ তারিখ কেন করা হল, এর উত্তর নেই।'' নিজের ফ্ল্যাট ছেড়ে তিনি কোথাও যাবেন না বলেও জানিয়েছেন মহিলা। বলছেন, কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিতেই হবে, একটা থাকার জায়গা না দিলে এখান থেকে সরবেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না বলেও দাবি করেছেন ওই মহিলা।
হেলে পড়া বাড়ির ঘটনায় ইতিমধ্যে ট্যাংরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। তবে কীভাবে ওই নির্মীয়মাণ বহুতল হেলে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। এই আবাসন ভাঙার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তা শোনার পর কার্যত অথৈজলে পড়েছেন বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছিলেন, বিল্ডিং না ভেঙে অন্য কোনও ব্যবস্থা করা হোক যাতে তাঁদের কোথাও যেতে না হয়। কিন্তু বাড়ি ভাঙা ছাড়া আর উপায় দেখছে না পুরসভা।