শেষ আপডেট: 4th February 2025 19:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যোগেশচন্দ্র ডে কলেজের পরিচালন সমিতিতে বদল। সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে। তাঁর জায়গায় এলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কেন এমন সিদ্ধান্ত তা স্পষ্ট না করা হলেও অনুমান করা হচ্ছে সরস্বতী পুজো নিয়ে বিতর্কের জন্যই এই বদল করা হয়েছে।
যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজে সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূলেরই এক যুব নেতা। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এ বিষয়ে মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই মামলাতেই পুলিশি ঘেরাটোপে সরস্বতী পুজোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাতেই সমালোচনা শুরু হয় যে, কলকাতায় পুজো করতে হচ্ছে পুলিশি ঘেরাটোপে। এই ঘটনার পরই কলেজের পরিচালন সমিতির বদল করল তৃণমূল নেতৃত্ব।
এক সময় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কলেজের ছাত্রী ছিলেন। সেই যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজেই সরস্বতীপুজোর প্রস্তুতিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়। তবে সরস্বতী পুজো হওয়া নিয়েও ধরা পড়ে কলেজের আমরা-ওরার ছবি। কারণ ল বিভাগের পুজো হয়েছে কলেজের ভেতরে। আর ডে বিভাগের পুজো হয়েছে কলেজের পাশের গলিতে। গোটা বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে রিপোর্টও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যোগেশচন্দ্রের ঘটনা নিয়ে স্বভাবতই রাজ্যকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, "এরা (তৃণমূল) রাজ্যটাকে বাংলাদেশ বানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের যশোরেও পুলিশ দিয়ে পুজো হচ্ছে, কলকাতার যোগেশচন্দ্র কলেজেও তাই।" এর পাল্টা হিসেবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকে দায়ী করে পাল্টা অভিযোগ করে বলেছিলেন, "যারা বিজেপি করে, তারা অশান্তি করে।তারা ছোট মনের মানুষ। যোগেশ চন্দ্র কলেজে একটা পাকা ছেলে ওই কাজ করেছে।"
এই প্রথম এমন বদল হল না। এর আগে চিত্তরঞ্জন কলেজে সংঘাতের মাঝেই পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে বদল করা হয়েছিল। সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন শ্যামপুকুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।