কুণাল ঘোষ, মৌসুমি ভট্টাচার্য, দেবাংশু ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ
শেষ আপডেট: 16th September 2024 14:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছিলেন টলি অভিনেত্রী মৌসুমি ভট্টাচার্য। বাদ যাননি দেবাংশু-কুণালও। তার পর পরই অভিনেত্রীকে এক হাত নিলেন তৃণমূলের দুই মুখপাত্র। একজন বানালেন 'বৌমা', অন্যজন বললেন 'দজ্জাল'।
ঠিক কী ঘটনা? আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চারিদিকে প্রতিবাদ চলছে। সোচ্চার হচ্ছেন শিল্পীরা। ব্যাতিক্রম নন টলি অভিনেত্রী মৌসুমি ভট্টাচার্যও। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিনেত্রী।
মৌসুমি বলছিলেন, 'কুণাল ঘোষ আর ওই ছেলেটা, নাম ভুলে যাই কী যেন দেবাংশু। যেদিন পাবলিকের হাতে পড়বে দেখব কী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাঁচাতে আসবেন না। বাড়িতে বসে খালি লেকচার দেয়। একদিন পাবলিকের সামনে আসতেই হবে। ডাক্তারের কাছেও যেতে হবে। অসুস্থ তো সবাই হয়। ওই দিনটা খুব ভয়ানক ওদের কাছে।'
এর পরই তাঁর বলা এই ভিডিও কুণাল তাঁর নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। পাল্টা অভিনেত্রীর নাম করে দেবাংশুকে ট্যাগ করে লেখেন, 'হ্যাঁরে @ItsYourDev (দেবাংশুর এক্স হ্যান্ডলের নাম), তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব? তোর সঙ্গে বেশ মানাবে। রাগের মধ্যেই থাকে অনুরাগের বীজ। তাছাড়া, কেমন সংস্কার মানে, স্বামীর নাম মুখে আনতে চায় না। আমার তো নিজেকে এখনই ভাসুর ভাসুর লাগছে।'
সঙ্গে সঙ্গেই দেবাংশু তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, 'গলা শুনেই মনে হচ্ছে বড় দজ্জাল মহিলা গো! বিনয় কোঙ্গারের মত 'লাইফ হেল' করে দেবে…'। এখানেই থেমে থাকেননি দেবাংশু ভট্টাচার্য। পাশাপাশি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে তৃণমূল নেতা লেখেন, 'বলছ তাহলে Kunal দা? তুমি খুঁজে দিচ্ছ মানে এত সহজে কি না বলতে পারি! কিন্তু গলা শুনে মনে হচ্ছে বড় দজ্জাল.. টিকবে কি? এ বাবা! এমা.. দাঁড়াও দাঁড়াও… বিবাহিত তো! সরি… সিরিয়ালে কাজ নেই। বদন বিগড়ে গেছে। ডাক্তারদের আন্দোলনে বিরিয়ানি খেতে গেছে। আমাদের নাম নিয়ে একটু ফুটেজও খাক।'
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এঁদের নেতাদের দেখলেই বোঝা যায় তাঁদের বড় একটা অংশ এক একজন পোটেনশিয়াল মলেস্টার। সেটা এই ঘটনা থেকেও প্রমাণিত। যে কাজটা দেবাংশু-কুণাল করেছেন সেটা বেআইনি। আর সেটা দেবাংশু জানে বলেই সমালোচনার পরে পোস্ট এডিট করেছে। এরা পোটেনশিয়াল মলেস্টার বলেই যে কোনও ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের সঙ্গে রিলেট করতে পারে, আর সেই ঝাঁঝ আন্দোলনকারীদের ওপর গিয়ে পড়ে। '