শেষ আপডেট: 5th December 2024 20:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিশ কলকাতায়। গ্রেফতার করা হল চক্রের তিন মাথাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুবাইতে বসেই যাবতীয় প্রতারণার কারবার চলাতো তারা।
জুন মাসে বিধাননগর সাইবার থানায় এক ডাক্তার ১.১৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেন। সেই ঘটনার তদন্ত চলছিল দু'মাস ধরে। প্রথমে বিধাননগর পুলিশ বিহার থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করে। চক্রের ১৭ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করে জানা গিয়েছে আজ গ্রেফতার হওয়া তিনজনই মূল পাণ্ডা।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় হলেও এরা দুবাইতে থাকতেন। সেখানে বসেই গোটা চক্র চালানো হত। পাশাপশি শ্রীলঙ্কাতেও এই চক্রের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
তদন্তে এও জানা গেছে যে, এই চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্মীরাও জড়িত। তাদের একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ মনে করছে প্রায় ২৪৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে অভিষেক বনশল নামে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের নাম। তিনিই চক্রের মূল মাথা বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তার ডান হাত বা বাম হাত হিসাবে কাজ করতেন গুজরাটের বাসিন্দা মায়াঙ্ক চৌধুরী, ফরিদাবাদের বাসিন্দা অমিত জিন্দল।
অভিষেকের সঙ্গে মায়াঙ্কের নেপালের এক ক্যাসিনোতে পরিচয় হয় বলে জানা যাচ্ছে। তারপরই একইসঙ্গে 'অপারেশন'। ফিশিং কোম্পানি তৈরি করে বিনিয়োগের ফাঁদ পাতে। অ্যাপ তৈরি করে ফাঁদ পাতা হয়। অ্যাপ গুলো ফেক অ্যাপ। অ্যাপ এর মাধ্যমে ইনভেস্টমেন্টের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা চালানো হত।
তদন্তকারীরা এও জানাচ্ছেন, আধার, প্যান নিয়ে তৈরি করা অ্যাকাউন্ট। ওই নথি ব্যবহার করে মোবাইলের সিম কার্ড তোলা হত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাল্কে সিম কিনে দুবাই পাঠিয়ে দেওয়া হত। দুবাই, শ্রীলঙ্কা থেকে পুরো কাজটা চলত।