শেষ আপডেট: 2nd October 2024 12:35
দ্য় ওয়াল ব্যুরো: দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে পাঁচ ঘণ্টা। বিক্ষোভের আঁচ উত্তরোত্তর বাড়ছে বাঁশদ্রোণীতে। স্থানীয় মানুষজন ঘেরাও করে রেখেছেন পাটুলি ও বাঁশদ্রোণী থানার ওসিকে। কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে না এলে পুলিশকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ।
মহালয়ার ভোরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয় নবম শ্রেণির ছাত্রের। এলাকার রাস্তা সারাইয়ের জন্য আনা মাটি কাটার যন্ত্রের গাড়ি (জেসিবি) একটি গাছের সঙ্গে পিষে দিয়েছে তাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলে দলে মানুষ নেমে আসেন রাস্তায়। বিক্ষোভ সামাল দিতে বাঁশদ্রোণী পুলিশ পৌঁছলে, পুলিশকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর পাটুলি থানা থেকেও পুলিশ পৌঁছয়। দুটি থানার ওসিকেই ঘিরে ফেলে জনতা। দাবি করেন, ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারকে ঘটনাস্থলে আসতে হবে। তারপরেই অবরোধ তুলবেন তাঁরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার রাস্তা ভাঙাচোরা। কিন্তু হেলদোল নেই পুরসভার। একটা কিশোর জীবন দিয়ে তার মাশুল দিল।
কিন্তু পাঁচঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও কাউন্সিলরকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। বাসিন্দাদের দাবি, তিনি থানায় বসে রয়েছেন, কিন্তু ঘটনাস্থলে আসছেন না। অনিতাদেবী ফোনে জানান, ‘‘ বিরাট এলাকা। এডিবির প্রজেক্টে প্রথমে নিকাশির কাজ হয়। রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। তাই সেখানে জেসিবি রাখা ছিল। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।" একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন ওই রাস্তা সারাইয়ের কাজ পুরসভা করছিল না, দায়িত্ব ছিল ঠিকাদার সংস্থার।