শেষ আপডেট: 23rd January 2025 13:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার সকালে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে এক বহুতল। বিকেলের মধ্যেই তা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যে আবাসনের বাসিন্দাদের বাড়ি খালি করে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দারা চান অন্য কোনও উপায় বের করা হোক। বাড়ি যাতে না ভাঙা হয়। কিন্তু বহুতল ভাঙা হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা।
হেলে পড়া বাড়ির ঘটনায় ইতিমধ্যে ট্যাংরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। তবে কীভাবে ওই নির্মীয়মাণ বহুতল হেলে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে আবাসন ভাঙার নির্দেশ শোনার পর কার্যত অথৈজলে পড়েছেন বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন, বিল্ডিং না ভেঙে অন্য কোনও ব্যবস্থা করা হোক যাতে তাঁদের কোথাও যেতে না হয়। এই ব্যাপারে তাঁদের অবশ্য প্রাথমিক আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
পুরসভার বাড়ি ভাঙার নির্দেশ নিয়ে কাউন্সিলর জানিয়েছেন, ''বাড়ি অল্প হেলে গেলে তাতে সব সময় বিপদ ঘটে তা নয়। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা এসে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁদের রিপোর্ট হাতে পেলে সবটা বোঝা যাবে। বহুতল যদি মজবুত থাকে তাহলে এক রকম ব্যবস্থা, না থাকলে অন্য রকম।'' তাঁর কথায়, এখন বাড়ি হেলে পড়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে ২-৩ দিনের জন্য কোথাও শিফট করে যেতে। এর মধ্যে রিপোর্ট চলে আসবে। তা ভাল হল কোনও সমস্যা নেই।
কিন্তু রিপোর্টে যদি বলা হয় যে বাড়ি মজবুত নেই, তা ভাঙতেই হবে, তখন? কাউন্সিলর বলছেন, ''বহুতল ভাঙা একমাত্র উপায় হলে তা ভেঙে এখানে বাংলার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।'' এখানেও প্রশ্ন উঠছে, বাংলার বাড়ি করলে এত পরিবার থাকতে পারবে কিনা। সেক্ষেত্রে অবশ্য কোনও সমস্যা হবে বলে মনে করছেন না কাউন্সিলর।
কলকাতা পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, নতুন বাড়িতে সিসি থাকতেই হবে। তা না থাকলে জল, বিদ্যুতের মতো পরিষেবা পাওয়া যাবে না। তা বেআইনি হিসেবে ধরা হবে। যদিও বাড়ির মালিকদের দাবি, তাঁদের আবাসনের সিসি করা আছে। সেক্ষেত্রে বাড়ি ভাঙার পর কলকাতা পুরসভা কোনও ক্ষতিপূরণ দেয় কিনা, সেটাই দেখার।