শেষ আপডেট: 25th August 2024 10:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাত সকালে বেলেঘাটায় টান টান উত্তেজনা!
সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ির বাইরে ডাকাডাকি শুরু করেছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। বারংবার বেলও বাজানো হয়। কিন্তু দরজা খোলেনি। ভেতর থেকে কেউ সাড়াও দেয়নি। হাঁক ডাকে সারা পাড়া জেগে গেলেও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে কারও সাড়া না মেলায় আইনি পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনাও শুরু করেছিলেন তদন্তকারীরা।
ঠিক তখনই, ঘড়ির কাঁটায় ৮টা বেজে ৩ মিনিটে বাড়ির দরজা খুলে বাইরে আসেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল বাড়ির ভেতরে ঢুকেছেন! সূত্রের খবর, আরজি করের দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তেই এদিন সন্দীপবাবুর বাড়িতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সন্দীপবাবুর পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতাল, কেষ্টপুরে আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের কর্তা দেবাশিস সোম, এন্টালিতে হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়ি এবং হাওড়ায় বিপ্লব সিং নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, এই বিপ্লব হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারীর কাজ করেন। আরজি করে দুর্নীতির তদন্তে এদিন সকাল থেকে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে মোট ১৫টি এলাকায় তল্লাশি অভিযান নেমেছে সিবিআই।
৮ অগস্ট গভীর রাতে আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। এরপরই হাসপাতালে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। সব অভিযোগেরই কেন্দ্রে ছিলেন প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ডক্টর সন্দীপ ঘোষ। তিনিই নানা বিষয়ে হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এ ব্যাাপারে সন্দীপের বিরুদ্ধে সরব হন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সংবাদ মাধ্যমের কাছে আখতার বলেন, "আরজি করের দুর্নীতির মূলে ওই সন্দীপ ঘোষ।"
শুক্রবার ওই দুর্নীতি মামলার তদন্তভারও সিবিআইকে দিয়েছে আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিলেন সন্দীপ। তবে তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত।
প্রসঙ্গত, ছাত্রী খুনের ঘটনায় গত শুক্রবার থেকে টানা ৯দিন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে জেরা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শনিবারও দিনভর সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এরপরই রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ির সামনে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা।
কী কারণে বাড়ির দরজা খুলতে সন্দীপবাবুর এত সময় লাগল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।