শেষ আপডেট: 14th August 2024 13:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘটনার দিন সন্ধের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেমিনার রুমের দরজা। তার আগে নেওয়া হয়েছে ক্লাস। বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কেন, কারা সেমিনার রুম খুললেন বুঝতে পারছেন না তিনি। বিস্ফোরক ইঙ্গিত করলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিনের এইচওডি ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী।
বুধবার তিনি বলেন, "সেমিনার রুমে ক্লাস হয়। পড়াশোনা করে পড়ুয়ারা। ঘটনার দিনও বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে। তারপর সাড়ে আটটায় দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয়। চাবি থাকে নার্সদের কাছে। ওই দিন কখন আবার কে সেমিনার রুম খুলল বুঝতে পারছি না।" এরপরেই হাসপাতালের ভেতরের কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা সেই প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। উত্তরে ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী বলেন, "আমি সিবিআই নই।"
আরজিকরে ডাক্তারির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তারপরেই শুরু হয়ে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা। টালা থানা থেকে এই মামলার একাধিক নথি সংগ্রহ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। তাঁরাই কলকাতা পুলিশের থেকে এই মামলা সংক্রান্ত বাকি নথি সংগ্রহ করেছে এবং একাধিক দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেও হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে সিবিআই। বুধবার সকালেই তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ।
বুধবার দিল্লি থেকে সিবিআই-এর দলের সঙ্গে এসেছে আলাদা ফরেন্সিক দলও। সমস্ত নথিপত্র এবং সাক্ষীদের বয়ান কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হস্তান্তর করে দিয়েছে পুলিশ। এরপরই মূল অভিযুক্তকে হাতে পেয়ে তাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় সিবিআই। সব পরীক্ষা করার পর সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। আরজি করে এদিনই যাবে সিবিআই আধিকারিকরা। যে সেমিনার রুমে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখার কথা তাঁদের। নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি আরজি করের ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা।