শেষ আপডেট: 24th September 2024 11:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে ৯ অগস্ট। তার আগের দিন অর্থাৎ ৮ অগস্ট কাজে অনুপস্থিত ছিলেন অভীক দে। এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি ডাক্তার অভীক। প্রচ্ছন্ন ক্ষমতার দাপটে সবই নাকি তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকত। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
প্রশ্ন উঠেছিল, ৮ অগস্ট কোথায় ছিলেন তিনি? অভিযোগ উঠছে আরজি কর হাসপাতালের যেখানে ঘটনাটি ঘটে, ওই দিন সেই সেমিনার রুমেই ছিলেন। এখানেই অভিযোগের ইতি পড়েনি। রাজ্য জুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল উঠতেই স্বাস্থ্য দফতর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে বলে অভীক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য যেন দেওয়া হয়।
এর পরই ৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে চিঠি দেয় এসএসকেএম। যেখানে শল্য বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে, ৮ অগস্ট থেকে টানা অনুপস্থিত অভীক। ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন তিনি অনুপস্থিত সেই কারণ ব্যাখ্যা করে শল্য বিভাগ তো বটেই, বিভাগীয় প্রধান, কর্তৃপক্ষ কাউকেই কোনও খবর দেননি তিনি।
এসএসকেএম হাসপাতালের ওই চিঠি থেকে আরও জানা গেছে, শল্য বিভাগের ট্রেইনি হিসেবে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনও করেননি অভীক।
চিকিৎসকদের একাংশের তরফে আরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে হবেন, সেটাও ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন অভীক। শুধু তাই নয়, পরীক্ষায় ইনভিজিলেটরের ভূমিকাতেও দেখা যেত তাঁকে। সবটা জেনেও অনেকে কিছু বলতে পারতেন না কারণ বিরুদ্ধাচরণ করলেই অভীকের রোষের মুখে পড়তে হবে।
এসএসকেএম-এর ডিনের দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরে কী বিষয়ে গবেষণাপত্র জমা দেবেন, সেটাও কলেজকে জানাননি অভীক।
এতকিছুর পর ডাক্তারদের বড় অংশ মনে করছেন, এরপরও শুধু সাসপেন্ড হয়েই থাকবেন অভীক দে? প্রসঙ্গত, সরকারি হাসপাতালে ‘দাদাগিরি’ চালানোর অভিযোগে চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং চিকিৎসক সুশান্ত রায়কেও সাসপেন্ড করেছে আইএমএ। পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয়েছে অভীক দে'কেও।