শেষ আপডেট: 3rd November 2024 15:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা থানার হালতুতে ক্লাব ভাঙচুর। তারই প্রতিবাদ করায় রাস্তাতেই দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। গোটা ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। জানা যাচ্ছে ওই প্রতিবাদী দম্পতির চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ।
আহতদের অভিযোগের আঙুল ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীদের দিকে। তাঁরা বলছেন যে ক্লাবে ভাঙচুর করা হয়েছিল, সেখানে কালীপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন ১০৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। সেই কারণে এলাকার বাসিন্দাদের উপর লিপিকা মান্নার অনুগামীদের রাগ ছিল। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
শনিবার রাতে একটি অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন ওই দম্পতি। দেখতে পান, পাড়ার ক্লাবের পুজোয় ভাঙচুর করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে কথা কাটাকাটি, বচসা শুরু হয়।
আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, 'আমার স্বামী ওদের গিয়ে শুধু জিজ্ঞেস করেছিল কেন ক্লাব ভাঙচুর করছে! কোনও উত্তর না দিয়ে আমার স্বামীর উপরে চড়াও হয় তারা। মারধর করা হয়। চোখ দুটো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। আমারও আঘাত লেগেছে এক চোখে।'
আহত দম্পতির সঙ্গে আরও কয়েক জন ছিলেন। বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গোটা ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন ওই দম্পতি। তাঁদের প্রশ্ন, 'অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও কেন কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি?'
প্রসঙ্গত, অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় শনিবার রাতে বাঘাযতীনের ক্লাবেও তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ৫০ জনেরও বেশি দুষ্কৃতী ক্লাবে লাঠি ও রড নিয়ে হামলা চালায়।
ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় ক্লাব সদস্যদের মারধর করা হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সমস্ত আসবাবপত্রও। ঘটনায় কয়েকজন ক্লাব সদস্য গুরুতর আহত হন।