আরজি করের সামনে হামলা।
শেষ আপডেট: 15th August 2024 04:05
রফিকুল জামাদার ও অরিত্র কবিরাজ
স্বাধীনতার দিবসের রাতে মেয়েদের ‘রাত দখলের’ কর্মসূচির মধ্যেই বেনজির কাণ্ড ঘটে গেল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। আরজি কর হাসপাতালে সামনে প্রতিবাদীদের যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল এদিন মধ্যরাতে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী এমার্জেন্সির গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও উঠেছে হামলাকারীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। হামলাকারীরা ভাঙচুর করে পুলিশের একাধিক গাড়িতেও। এরপরই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নাামানো হয় ব়্যাফও। ঘটনাস্থলে রয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। এদিকে ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ ইতিমধ্যে যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। থানার গেট ঠেলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন কয়েক'শ মানুষ। ঘটনাকে ঘিরে গভীর রাতে উত্তেজনা তৈরি হয় যাদবপুর থানা চত্বরেও।
এদিকে আরজি করে এদিনের পরিস্থিতির জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়। এদিন রাতের আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন মীনাক্ষীও। তিনি বলেন, "আরজি করের সামনে শান্তিপূর্ণভা্বে বিক্ষোভ চলছিল। আচমকা একদল দুষ্কৃতী এসে তাণ্ডব শুরু করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে পুলিশ হাসপাতালের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। দুষ্কৃতীরা আন্দোলন মঞ্চ ভেঙে হাসপাতালের আউটোডের তাণ্ডব চালিয়ে চলে যাওয়ার পর পুলিশ লোকদেখানো কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে শুরু করে।"
ঘটনার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ মীনাক্ষীর। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "আমরা আগেই বলেছিলাম, বাম-রাম মিলে চক্রান্ত করে অশান্তির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এমনকী পুলিশও আক্রান্ত হয়েছে।" গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কুণাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই লাঠি, রড, পাথর নিয়ে একদল আরজিকরের সামনে চলে আসে। এরপরই শুরু হয় মারধর, ভাঙচুর। জখম হন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, পুলিশ শুরুতেই পদক্ষেপ নিলে এঘটনা ঘটতো না। ইতিমধ্যে পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে ব়্যাফ। থমথমে পরিবেশ।