শেষ আপডেট: 18th February 2025 14:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর আন্দোলনের নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধে। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই দাবি করা হয়েছিল। সেই দাবি আরও জোরাল হল কারণ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ওয়েবসাইট 'উধাও' হয়ে গেছে! অভিযোগ তোলা হচ্ছে, আন্দোলনের নামে টাকা তুলে এখন ওয়েবসাইটই মুছে দেওয়া হয়েছে।
জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লারা। এই সংগঠনের পাল্টা যে সংগঠন তৈরি হয়েছিল সেই ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছিল, নির্যাতিতার বিচারের নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছে ডক্টরস ফ্রন্ট। সেই টাকা কোথায়, সেই প্রশ্ন তুলেছিল তারা। এখন ওয়েবসাইট না থাকায় ফের সেই প্রশ্ন জোরাল হয়েছে।
ইন্টারনেটে www.wbjdf.com - এই ওয়েবসাইট খুলছে না। অভিযোগ, অর্থ তছরুর করে সেই সাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়েছে, ওয়েবসাইটে কাজ চলছে, তাই মাঝে-মধ্যে তা আসছে, যাচ্ছে। সাইট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা ভুল। টাকা তোলার ইস্যুতে কলকাতা পুলিশও তদন্ত করছে। সেই প্রেক্ষিতে ডক্টরস ফ্রন্টের কাছে নোটিস গেছে বলেও জানা গেছে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, সবরকম সহযোগিতা করা হবে পুলিশের সঙ্গে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেতরা। একই সঙ্গে বিচারের নামে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অরাজকতা তৈরি করা হচ্ছে বলেো দাবি ছিল তাঁদের। সংগঠনের তরফে শ্রীশ দাবি করেছিলেন, অনিকেত মাহাতোরা তাদের কলেজে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। তারাই থ্রেট কালচার চালিয়েছিল। উল্টে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাঁদের বলা হয়েছিল, নটোরিয়াস ক্রিমিনাল! আর যারা নির্যাতিতা দিদির বিচারের নামে ৪.৭৫ টাকা তুলেছে, ওরা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নয়? প্রশ্ন ছিল শ্রীশ।