শেষ আপডেট: 6th March 2025 12:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভুয়ো ভোটার (Fake Voters) ধরতে ইতিমধ্যে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর থেকেই তৃণমূল (TMC) শুরু করে 'স্ক্রুটিনির' কাজ। তাঁর বিধানসভা এলাকা ভবানীপুরেই ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে প্রথম গেছিল দল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওয়ার্ডে এই কাজ চলাকালীন করা হল চাঞ্চল্যকর দাবি। তাহলে কি সেখানেও ভুয়ো ভোটার রয়েছে?
৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ওয়ার্ডে এমন লোক রয়েছে যারা ৮-১০ বছর ধরে থাকে না। অথচ ভোটের সময় ওই ঠিকানায় এসে সব ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছে। আগের ভোটগুলিতেও এমন দেখা গেছে বলে দাবি তাঁর। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওয়ার্ডেই কি ভোটার তালিকায় লুকিয়ে ভুয়ো ভোটার?
ঠিক কতজনের 'হদিশ' পাওয়া গেছে? কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা ধরে স্ক্রুটিনি করার সময়ে অন্তত ১৫০ জনের নাম পেয়েছেন তিনি যারা এলাকায় থাকেন না, অথচ বছর বছর ভোট দিয়ে যান। তিনি মনে করেন, এই ভোটাররা বিজেপি বা অন্য কোনও বিরোধী দলেরই। ভবানীপুর অঞ্চলে এই কাজ করার সময়ে ফিরহাদ হাকিমও জানিয়েছিলেন যে, তিনি বেশ কয়েকজনকে পেয়েছেন যারা 'ভুয়ো ভোটার' হতে পারেন। সেই ভোটাররাও এলাকায় থাকেন না, অথচ ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূতুড়ে ভোটের ইস্যুতে একাধিক অভিযোগ করেছেন। তারপরই নেতাজি ইনডোরের সভা থেকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশের পর তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে স্ক্রুটিনি শুরু করেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু বিরোধী দলের নেতার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে এই কাজ শুরু করেছে তৃণমূল।
শাসক দলের পাল্টা কর্মসূচি ইতিমধ্যে শুরু করে বিজেপিও। তাঁরা বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনে একাধিক বিধানসভায় আশানুরূপ ফল করেনি তৃণমূল। সেই কারণেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্ক্রুটিনি শুরু করে ভোটার ছেঁকে নেওয়ার চেষ্টা করছে তাঁরা।
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এটা ঠিক যে একই এপিক নম্বরে একাধিক রাজ্যে ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে। তবে তাঁদের সাফ কথা, একই এপিক নম্বর থাকা মানেই সেটি ভুয়ো ভোটার কার্ড নয়। যদিও কমিশনের এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল।