শেষ আপডেট: 19th October 2024 21:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার দুপুরেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। সেখানে অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও বলান তাঁদের। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের ই-মেলও করা হল রাজ্যের তরফে। তবে এই মেলে রয়েছে বিশেষ বার্তা।
শনিবার ধর্মতলায় ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে বেলা ২টো নাগাদ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ পৌঁছন। ১০ দফা দাবি আদায়ে এখনও অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
এই আলোচনার মাঝেই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ফোন থেকে অনশনকারী ডাক্তারদের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন অনশন থেকে ডাক্তাররা যেন সরে আসেন। তিনি এও জানান, বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের থেকে অন্তত ৪ মাস সময়ও চেয়ে নেন তিনি। এদিনই জুনিয়র ডাক্তারদের ফের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সোমবার নবান্নে যেতে বলা হয়েছে তাঁদের প্রতিনিধি দলকে। তবে বৈঠকের জন্য রয়েছে 'শর্ত'। অনশন তুলে নিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের।
ই-মেলের মাধ্যমে মূলত দুপুরের আলোচনারই একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। স্পষ্টত বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রায় সব দাবিই মেনে নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা এবং সমস্যা সমাধানে সবসময় প্রস্তুত সরকার। এটাও আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী সোমবারের বৈঠকে তাঁরা যেন আসেন। বিকেল ৫টার ওই বৈঠকে ১০ জনের প্রতিনিধি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর আরও কিছু কাজ থাকায় বৈঠক ৪৫ মিনিটের বেশি করা যাবে না। তাই সাড়ে ৪টের মধ্যে নবান্নে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু এই বৈঠক হবে আমরণ অনশন তুলে নেওয়ার পর!
এর আগে অবশ্য তাঁদের তরফে বলা হয়েছিল যে নবান্নের বৈঠকে তাঁরা যাবেন। কিন্তু সেই সময়ে পর্যন্ত এই ই-মেল আসেনি। এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কী সিদ্ধান্ত নেবেন এই নিয়ে, তার দিকেই নজর। সব দাবি না মানলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই হুঁশিয়ারি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার সকালে ধর্নাস্থলে এসে পৌঁছন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও। প্রথমে যাঁরা অনশন করছেন তাঁদের স্বাস্থ্যের খবর নেন তাঁরা। পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসন এখনও অবধি কী করতে পেরেছেন, কী করতে পারেননি সেই ব্যাপারেও আলোচনা করেছেন।