শেষ আপডেট: 4th November 2024 16:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে এই মামলার শুনানি হবে। রোজ হবে এই মামলার শুনানি। কলকাতার হাসপাতালের নৃশংস সেই ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশ করার ২৮ দিনের মাথায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ হল। এবার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।
সোমবার দুপুরেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয় আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় অভিযুক্তকে। সেখানে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সঞ্জয়কে ফেরত নিয়ে যাওয়ার সময়ে সে বিস্ফোরক দাবি করে। তাঁর স্পষ্ট কথা, 'আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি রেপ-মার্ডার করিনি।' এর আগে একবার আদালত থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের সে বলেছিল, 'আমি কিছু করিনি।' তবে সোমবার সবথেকে বড় দাবি করেছে সঞ্জয় রায়।
সিবিআই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (খুন), ৬৪(১) ধর্ষণ এবং ৬৬ ধারায় চার্জশিট দিয়েছিল। সূত্রের খবর, সোমবার বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার। প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার গ্রেফতারির পর প্রথমে ধৃত বলেছিল, 'আমিই দোষী, আমাতে ফাঁসি দিন।' কিন্তু তারপর এক দফার শুনানিতে সঞ্জয় বিচারককে বলেছিল, 'স্যর আমার কিছু বলার রয়েছে। নয়তো দোষী করে দেবে।' যদিও সোমবার আর আদালতের চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, একেবারে সংবাদমাধ্যমের সামনে চিৎকার করে সঞ্জয় রায়কে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে দেখা গেছে।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছিল সঞ্জয় রায়। এই সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া আর কেউ এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি। কলকাতা পুলিশের এই গ্রেফতারিতেই সিলমোহর দিয়েছে সিবিআই। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর তাঁরা আর কাউকেই গ্রেফতার করেনি, উল্টে সঞ্জয়কেই দোষী বলে দাবি করেছে। তার প্রেক্ষিতেই সোমবার চার্জ গঠন হল।
আগামী ৯ নভেম্বর আরজি কর কাণ্ডের তিন মাস পূর্ণ হতে চলেছে। এতদিন ধরে কলকাতা তথা রাজ্যে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে এই ঘটনার প্রতিবাদে। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, বিশিষ্ট মহল সকলেই এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তবে তাঁরা কেউই সিবিআই-এর ভূমিকায় খুশি নন। আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও তাঁরা দিয়েছেন।