শেষ আপডেট: 9th April 2025 14:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চাকরিহারা শিক্ষকদের (Jobless Teachers) একাংশের ওপর লাঠিচার্জ (Lathicharge) করল পুলিশ (Kolkata Police)। কসবার ডিআই অফিসের (Kasba DI Office) সামনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এই ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর নেতাজি ইনডোরে চাকরিহারাদের সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ সেই আশ্বাসে ভরসা করতে পারেননি। ফলে বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হয়, তার আঁচ এদিন পড়ে কলকাতাতেও। কসবার ডিআই অফিসে ঢুকতে চান তাঁরা। সেই সময়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বুধবার সকালে চাকরিহারাদের একাংশ জড়ো হন কসবার ডিআই অফিসের সামনে। তবে তাঁদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। ব্যারিকেডের তো ছিলই, ডিআই অফিসের গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালা ভেঙেই ডিআই অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন চাকরিহারারা। সেই সময়েই পুলিশের লাঠির ঘায়ের মুখে পড়েন তাঁরা।
এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করছেন চাকরিহারারা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিও ছিল না এটা। তাহলে কেন পুলিশ এমন আচরণ করবে? তাহলে চাকরি চাইতে যাওয়াটা কি তাঁদের অপরাধ হয়ে গেল? প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এই ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। দাবি কয়েকজনের হাত-পাও ভেঙেছে! সব মিলিয়ে বর্তমানে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে কসবার ডিআই অফিস চত্বর।
ঠিক কী কারণে ডিআই অফিস অভিযান করেছেন চাকরিহারারা। আসলে তাঁদের বক্তব্য ছিল, স্কুল পরিদর্শকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেবেন তাঁরা। শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরিহারারা পথে নেমেছেন। জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার সকালে তাই জন্যই কসবার ডিআই অফিসের সামনে ছিল পুলিশি কড়াকড়ি। তবে পরিস্থিতি এমন হবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন চাকরিহারারা।
অন্যদিকে মঙ্গলবার চাকরিহারাদের একটা অংশ দেখা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পরে তাঁরা এসএসসি ভবনেও গেছিলেন চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু সাক্ষাৎ হয়নি। তাই বুধবার ফের সেই অভিযান করবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, যে ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল ২০১৬ সালে, তার মিরর ইমেজ হার্ড ডিস্কে রয়েছে। সেই তথ্য প্রকাশ করুক স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুধুমাত্র তা হলেই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা সম্ভব।
কিন্তু আজও যদি দেখা না হয় এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে! চাকরিাহারা এক শিক্ষকের হুঁশিয়ারি, এমন হলে তাঁর ধর্নায় বসবেন এসএসসি ভবনের সামনে। শুরু করতে পারেন অনশনও।