শেষ আপডেট: 23rd August 2024 14:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে সিবিআই হেফাজতের শেষে শুক্রবার পেশ করা হয় শিয়ালদহ আদালতে। সিবিআই ফের তাকে নিজেদের হেফাজতে বা জেল হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছিল।সেই প্রেক্ষিতে শিয়ালদহ আদালতের পক্ষ থেকে সঞ্জয় রায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট এদিনই হওয়ার কথা যার অনুমতি আগেই পেয়েছিল সিবিআই। পলিগ্রাফের ক্ষেত্রে আদালতের সামনে সেই ব্যক্তিরও সহমত প্রয়োজন যার টেস্ট হবে। সেক্ষেত্রে আজ শিয়ালদহ কোর্টে সঞ্জয় রায়কে নিয়ে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ছিল।
সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য ব্যক্তিগত অনুমতির প্রয়োজন ছিল সিবিআইয়ের। ধৃতকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হলে সিবিআই সঞ্জয় রায়ের থেকে সেই সম্মতি পেয়েছে, এমনটাই আদালত সূত্রের খবর। অনুমতি পাওয়ার পর এবার আরজি কর কাণ্ডের ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
পলিগ্রাফ টেস্টের আগে দফায় দফায় সঞ্জয় রায়ের মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন করা হয়েছে। যাতে সামনে এসেছে, সে যে বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত অর্থাৎ 'সেক্সুয়ালি পারভার্টেড'। নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যে ভয়াবহ আঘাত ও অত্যাচারের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া গেছে, তা ভাল করে খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। তা দেখে মনে করা হয়েছে, ধর্ষক যে বা যারাই ছিল, সে বা তারা 'হিংস্র জন্তুর মতো প্রবৃত্তি'তে আক্রান্ত। এই প্রবৃত্তি পুরোপুরি ধরা পড়েছে সঞ্জয় রায়ের সাইকোমেট্রি টেস্টেও।
মৃত চিকিত্সক-পড়ুয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, তাঁর মাথা, মুখ, ঠোঁট, চোখ, ঘাড়, হাত, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। অর্থাৎ পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল তাঁর ওপর। শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন করেছিল সঞ্জয় তা স্পষ্ট। ঘনিষ্ঠ মহলে সিবিআই এও দাবি করেছে, ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কোনও রকম অনুশোচনা দেখা যায়নি সঞ্জয়ের চোখে-মুখে। অনায়াসে সে সব কিছু ব্যাখ্যা করেছে। এতেই বোঝা যায়, তার মানসিক বিকৃতি আছে। সেক্ষেত্রে পলিগ্রাফ টেস্ট হলে তার থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সঞ্জয় রায় ছাড়াও বৃহস্পতিবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ পাঁচজনকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যায় সিবিআই। তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন করা হয়। সন্দীপ ঘোষ এবং আরজি করের চার চিকিৎসক পড়ুয়ারও পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।