শেষ আপডেট: 14th August 2024 12:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল তাঁরা মঙ্গলবার থেকেই তদন্ত শুরু করতে পারবে। সেই মতো টালা থানা থেকে এই মামলার একাধিক নথি সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছে তাঁদের একটি বিশেষ দল। তাঁরাই কলকাতা পুলিশের থেকে এই মামলা সংক্রান্ত বাকি নথি সংগ্রহ করেছে এবং একাধিক দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেও হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে সিবিআই। বুধবার সকালেই তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ।
বুধবার দিল্লি থেকে সিবিআই-এর দলের সঙ্গে এসেছে আলাদা ফরেন্সিক দলও। সমস্ত নথিপত্র এবং সাক্ষীদের বয়ান কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হস্তান্তর করে দিয়েছে পুলিশ। এরপরই মূল অভিযুক্ত হাতে পেয়ে তাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় সিবিআই। সব পরীক্ষা করার পর সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। আরজি করে এদিনই যাবে সিবিআই আধিকারিকরা। যে সেমিনার রুমে ধর্ষণ-খুন হয়েছে তা খতিয়ে দেখার কথা তাঁদের। নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি আরজি করের ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা।
আর জি কর হাসপাতালের তদন্তে সিবিআই-এর ৭ জনের প্রতিনিধি দল আজ কলকাতায় এসে পৌঁছায়। সূত্রের খবর, এই দলের মধ্যে ফরেনসিক এক্সপার্ট এবং মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন। ইতিমধ্যে সিবিআই-এর একটি দল নির্যাতিতার বাড়ি যাচ্ছে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। অন্য একটি দল সিজিও কমপ্লেক্সে ধৃত অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে জেরা করছে। এইভাবে একাধিক দলে ভাগ হয়ে আরজি কর ইস্যুর তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী রবিবার পর্যন্ত পুলিশকে সময় দিয়েছিলেন আরজি কর মামলার কিনারা করতে। তবে সময় দেওয়া নিয়ে সব মহল থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছিল। কেন এতদিন সময় দেওয়া হবে, কেন দেরি করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে কলকাতা হাইকোর্টে আরজি কর ইস্যুতে মঙ্গলবার যে শুনানি হয়েছে তাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়।
কলকাতা পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর ভূমিকায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের তরফে মৃত ছাত্রীর পরিবারকে প্রথমে কেন কেন আত্মহত্যার ঘটনা বলা হয়েছিল? কাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে প্রশাসন, প্রশ্ন তোলা হয়। তদন্তে কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় আদালত যে সন্তুষ্ট নয়, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে আরজিকরের মেডিক্যাল এবং কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মৃতের পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।