শেষ আপডেট: 26th August 2024 07:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবার সকাল ৭টার কিছু আগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গেছিল সিবিআইয়ের একটি দল। ৭৫ মিনিট পর তাঁরা সন্দীপের বাড়িতে ঢুকতে পারে। এরপর প্রায় ১৩ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অবশেষে সন্দীপের বাড়ি থেকে তাঁরা কী পেল?
প্রাথমিকভাবে সন্দীপ ঘোষকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারপর শুরু হয় তল্লাশি। ঠিক কী খুঁজতে তাঁরা সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গেছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়ি থেকে বেশকিছু নথি সংগ্রহ করেছে তাঁরা। তবে রবির সাতসকালে যে কজন সিবিআই আধিকারিক তাঁর বাড়িতে গেছিলেন, পরে আরও বেশ কয়েকজন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে একটি বড় ব্যাগও নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। তাতে কী আছে, পরিষ্কার নয়।
আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার তো বটেই, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্তেই রবিবার সাত সকালে কলকাতা শহর এবং হাওড়ার একাধিক জায়গায় ১৫টি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সিবিআই। রাত আটটায় তাঁদের একটি দল পৌঁছে গেছিল হাওড়ার সাঁকরাইলে। সেখানে সুমন হাজরা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় তাঁরা। সিবিআই সূত্রের খবর, এই সুমন হাজরা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সন্দীপ ঘোষের। হাসপাতালের একাধিক জিনিসপত্র রিসাইকেল করে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সন্দীপ ঘোষ কোথাও কোনও অনুষ্ঠান করলে তার হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু দেখভালও করতেন এই সুমন হাজরা।
৮ অগস্ট গভীর রাতে আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। এরপরই হাসপাতালে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। সব অভিযোগেরই কেন্দ্রে ছিলেন প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ডক্টর সন্দীপ ঘোষ। তিনিই নানা বিষয়ে হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।