শেষ আপডেট: 14th September 2024 23:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসিকে শনিবার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করল সিবিআই।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির ৭২ ঘণ্টা আগে এই ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে টানা ১৬ দিন ধরে জেরা করার পর গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। সন্দীপকে ঘোষকে হেফাজতে নিয়েও জেরা করা হয়। তার পর আদালতের নির্দেশে এখন জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর, আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রমান লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার ওসিকে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করার সিবিআইয়ের। গত সোমবার তারা এক প্রস্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সেই রিপোর্ট পড়ে বলেন, সিবিআই তাদের তদন্তের লাইন জানিয়েছে। আদালতে খোলাখুলি তা নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। তবে সিবিআইকে বলছি সাত দিনের মধ্যে আরও একটি রিপোর্ট দিক।
সর্বোচ্চ আদালতের সেই পর্যবেক্ষণ দেখে মনে করা হচ্ছিল, সিবিআই যে পথে তদন্ত এগোচ্ছে তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই সুপ্রিম কোর্টের। অর্থাৎ স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত সিবিআই দিয়েছে। আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, সিবিআইয়ের প্রাথমিক রিপোর্ট পড়ার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবালকে বার বার এই প্রশ্ন করেন যে, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার রাতের গোটা সিসিটিভি ফুটেজ কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে? ময়নাতদন্তের চালান কোথায়?
এ ছাড়া ফরেনসিক রিপোর্ট কতটা ভরসাযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সলিসটির জেনারেল তুষার মেটা। সেই সঙ্গে আইনজীবীরা এ প্রশ্নও তুলেছিলেন যে ময়নাতদন্তের পর নমুনা সংগ্রহ কি ঠিকঠাক ভাবে করা হয়েছে? অনেকের মতে, সলিসিটির জেনারেলের এই সব কথাতেই পরিষ্কার ছিল যে সিবিআই তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনতে পারে। দেখা গেল হলও তাই। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা সেদিক থেকে বড় ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।