শেষ আপডেট: 12th March 2025 18:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরস্বতী পুজোর পর বুধবার ফের একবার উত্তপ্ত হয় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ (Jogesh Chandra Chaudhuri College)। এবারও ইস্যু সেই বহিরাগত প্রবেশ। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, জোর করে তাঁদের রং মাখানো হয়েছে, গায়ে জল দেওয়া হয়েছে। এমনকী ক্যাম্পাসে আসা সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)। মামলা দায়ের করেছেন কলেজেরই এক পড়ুয়া।
কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে সিসিটিভি, নিরাপত্তা কর্মী রাখতে হবে। একই সঙ্গে, বহিরাগত প্রবেশ নিয়ে যাতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়, হাইকোর্টে মামলা করে সেই আর্জিও করেছেন মামলাকারী। তাঁর আবেদনে আদালত সাড়া দিয়ে মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি হবে এই মামলার।
মূলত কলেজের ডে এবং আইন বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আবির খেলাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়েছিল। এদিকে বুধবারই পরিচালন সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে কলেজে গেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। তাঁর সঙ্গে অনেকে ক্যাম্পাসে ঢোকে। তারাই বহিরাগত বলে দাবি পড়ুয়াদের একাংশের। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মালা রায়কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই একাংশ। তৃণমূল সাংসদ অবশ্য বলেন, তিনি বৈঠক করতে কলেজে এসেছিলেন। তাঁর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় কে বহিরাগত আর কে বহিরাগত নয়। বিষয়টি প্রশাসন দেখবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখবে।
গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলেন, আজ কোনও দোল উৎসব ছিল না, কলেজে কোনও অনুষ্ঠান ছিল না, বসন্ত উৎসবও ছিল না। কারা এল, কেন এল, কী উদ্দেশ্য ছিল তাদের, সেটা জানা দরকার। তবে যারা এসেছিল তারা গন্ডগোল করার জন্যই এসেছিল। মহিলা, সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ করছেন তিনি।
এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি যোগেশচন্দ্র কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। তা খুলবে ১৭ তারিখ, সোমবার।