শেষ আপডেট: 30th August 2024 18:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর পদত্যাগ করেছিলেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তবে পদত্যাগ করলেও সেদিনই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বসায় সরকার। তবে তাতে বিতর্ক বাড়ে। তাঁর নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তোলেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। তারপর থেকে এতদিন সেখানে কাউকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়নি। শুক্রবার জানা গেল, ন্যাশনাল মেডিক্যালের নতুন অধ্যক্ষ হচ্ছেন হাসপাতালেরই চেস্ট মেডিসিন অধ্যাপক শুভ্র মিত্র।
শুভ্রই যে পাকাপাকিভাবে এই দায়িত্ব পেলেন এমনটা নয়। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ আসা না পর্যন্ত তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলাবেন। আপাতত এই পদে ছিলেন চিকিৎসক অজয় রায়। আরজি করের ঘটনার পর সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে আনা হলে সেখানকার চিকিৎসক-পড়ুয়ারা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁরা সন্দীপকে ঢুকতেই দেবে না। তারপর সন্দীপ ঘোষকে সরাতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অবশ্য এখন সন্দীপ ঘোষ অনির্দিষ্টকালীন ছুটিতে আছেন। আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর তাঁকে লাগাতার তলব করা হচ্ছে। এই নিয়ে ১৫ দিন টানা সিবিআই দফতরে গেছেন সন্দীপ। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনা তো বটেই, হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গেও সন্দীপ ঘোষ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই দুটি ক্ষেত্রের তদন্তেই তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে শুধু সন্দীপ ঘোষ জড়িত এমন অভিযোগ নেই। বরং হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়েও দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মর্গ থেকে মৃতদেহ নিয়ে বেআইনি কাজ করেছেন তিনি এমনও গুঞ্জন। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দেবাশিস সোম যিনি আরজি করেরই ফরেন্সিক শিক্ষক। তাঁকেও একাধিকবার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের মর্গে অনুসন্ধান করতে গেছিলেন কয়েকজন আধিকারিক। শুক্রবার সিবিআই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দফতরেও যায়।