শেষ আপডেট: 22nd January 2025 17:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ আসফাকুল্লা নাইয়ার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়ায় ছ’সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এম এস কোর্স শেষের আগেই সেই ডিগ্রি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রথমে তাঁকে কড়া চিঠি দেয় মেডিক্যাল কাউন্সিল। পরে জুনিয়র ডাক্তারকে তলব করে ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। তলব আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আসফাকুল্লা। সেই মামলার শুনানিতেই তাঁকে স্বস্তি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, তদন্ত করার মতো উপযুক্ত কোনও তথ্য এবং নথি দেখাতে পারেনি পুলিশ। সেটা জোগাড় করে তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করলে কী ক্ষতি হত, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আসফাকুল্লার আইনজীবী শামিম আহমেদ আগেই আদালতে বলেছিলেন, নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বিধাননগর পুলিশের একটি দল আসফাকউল্লার বাড়িতে তল্লাশি করেছে। পরবর্তী কালে তাঁকে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় তলবও করা হয়েছে। তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য এবং পুলিশ যে বড় ধাক্কা খেল তা বলাই বাহুল্য।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন, আন্দোলন করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম নাম চিকিৎসক আশফাকুল্লা নাইয়া। বর্তমানে তিনি আরজিকর হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের জুনিয়র ডাক্তার। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষজ্ঞ না হয়েই স্পেশালিস্ট হিসেবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অভিযোগে তোলপাড় হয় রাজ্য। এই ইস্যুতে আসফাকুল্লাকে শোকজ করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। আসফাকুল্লাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এর পরেই গত বৃহস্পতিবার সকালে জুনিয়র ডাক্তারের কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রথম চিকিৎসক আশফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। তাঁরা একটি ছবি দেখিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের এই জুনিয়র ডাক্তারের। সেখানে দেখা যায়, সিঙ্গুরে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া একটি সংস্থার পোস্টারে আন্দোলনকারী আশফাকুল্লার নাম উল্লেখ করে তার পাশে লেখা 'এমএস'। সেই থেকেই হয় ঝামেলার সূত্রপাত।